বিজেপির রাজ্য সভাপতি বার বার তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের মা বোনদের ৫০০ টাকা দিয়ে আখেরে তাদের কোনো সুরাহা করতে পারেনি রাজ্য সরকার। তাঁর দাবি, এই নামমাত্র টাকায় আজকের দিনে কিছুই হয় না। এবার বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৫০০ টাকা নয়, ২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন সুকান্ত মজুমদার। ঘোষণা করলেন নারায়ণ ভাণ্ডারের।
মঙ্গলবার দলের এক কর্মসূচিতে হুগলিতে গিয়ে নারায়ণ ভান্ডারের ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হুগলির পান্ডুয়ার খন্ন্যানে যুব মোর্চার এক সম্মেলনে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দলের হুগলী সংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, বিধায়ক বিমান ঘোষ, সুরেশ্বর ও দীপাঞ্জন গুহদের মতো নেতৃত্ব।
যুব মোর্চার সম্মেলনে সুকান্ত বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ৫০০ টাকা ঘুষ দিয়ে ভাবছেন যে আমাদের বাড়ির মহিলাদের তারা কিনে নিয়েছেন।” এরপরই তিনি ঘোষণা করেন, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ২০০০ টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করবে এবং তার সঙ্গে কর্মসংস্থানও করবে।
সুকান্ত বলেন, “গ্রামের মানুষকে তৃণমূল বুঝিয়ে রেখেছে যে বিজেপি এলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। ৫০০ টাকা যদি লক্ষ্মীর ভান্ডার হয় তাহলে বিজেপি এলে ২০০০ টাকা দেবে, যেটা নারায়ণ ভান্ডার সেটা চালু হবে।” গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর পাশাপাশি নারায়ণরাও টাকা পাবে বলে আশ্বাস দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এর আগেও তিনি এই ৫০০ টাকায় কিছু হয় না বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, তারা ক্ষমতায় এলে প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হবে। তবে এবার সেই টাকা কতটা হবে ও সেই প্রকল্পের নাম কি হবে সেটা খোলসা করলেন। কারণ এর আগে তিনি বলেছেন, রাজ্যের মানুষের হাতে যদি টাকা তুলে দিতে হয় তাহলে এমন টাকা দিতে হবে যা দিয়ে তারা কিছু করতে পারে। তাঁর অভিযোগ ছিল, মা বোনদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের এই টাকায় বাড়ির পুরুষরাও ভাগ বসাচ্ছে, শুধুমাত্র নেশা করার জন্য। তাই টাকা যদি দিতে হয় এমন দেওয়া উচিত যেটা মা বোনদের কাজে লাগে।
মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। এবার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাল্টায় নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শুকান্ত মজুমদার।