আগ্রার জামা মসজিদের সিঁড়ির নিচে থাকা কৃষ্ণমূর্তি খনন করে ফেরানো হোক কৃষ্ণ জন্মভূমি সংস্কৃত সেবা ট্রাস্টকে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই দাবি জানিয়ে মামলা হয়েছিল আগ্রার একটি নিম্ন আদালতে। পরে আবার একই দাবিতে মামলা করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। সোমবার আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেছে ও বিষয়টি সম্পর্কিত সব পক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছে।আদালত এই বিষয়ে সব পক্ষের মতামত জানতে চেয়েছে।
নিম্ন আদালতে ১১ মে মসজিদ থেকে শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি খননের আবেদন জানানো হয়। নিম্ন আদালতে আবেদন করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংস্কৃত সেবার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মনোজ কুমার পান্ডে। এর আগে মথুরার এক ধর্মীয় প্রচারক দেবকী নন্দন ঠাকুর আগ্রায় অনুষ্ঠিত ভাগবত কথাতে দাবি করেছিলেন, জামা মসজিদের সিঁড়ির তলায় রয়েছে ভগবান কৃষ্ণের একাধিক মূর্তি। তারপরই দাবি ওঠে এই মূর্তিগুলি হিন্দুদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। শ্রীকৃষ্ণ সেবা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মনোজ পান্ডের বক্তব্য, প্রতিদিন মসজিদে সিঁড়ি বেয়ে নামাজ পড়তে যান মুসলিমরা। অথচ সেই সিঁড়ির নিচেই রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। এই ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থার প্রতি চরম অশ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটছে প্রতিদিন।
যেহেতু মুসলমানরা ঠাকুর দেবকি নন্দনের আবেদনে কর্ণপাত করেনি। সিঁড়ি খুঁড়ে দেবতার মূর্তি উদ্ধারে অনুমতি দেয়নি। তাই আদালতে যাওয়াই ছিল একমাত্র পথ বলে জানান মনোজ। তিনি দাবি করেছেন, মসজিদের সিঁড়ির নিচে যে মূর্তি পুঁতে রাখা আছে, তার কাছে সেই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। মুঘল আমলে লেখা একটি বই আদালতে উপস্থাপন করবেন তিনি। মনোজ আরও জানিয়েছেন, খননে যাবতীয় খরচ দিতেও রাজি আছে ট্রাস্ট।
এই মামলাটি ইন্তাজামিয়া কমিটি, শাহি মসজিদ আগ্রা ফোর্ট, মসজিদ দিওয়ান ই খাস, আগ্রা ফোর্টে মসজিদের সম্পাদক জাহানারা বেগম, উত্তরপ্রদেশ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংস্কৃত সেবা ট্রাস্টের সম্পাদককে নোটিশ পাঠিয়েছে আদালত। এই বিষয়ে সব পক্ষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।