ফের উত্তরপ্রদেশে শিরোনামে যৌন নিগ্রহ। এবার সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৮ জনকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
যোগীরাজ্যের শাহজাহনপুর জেলার এক সরকারি স্কুলের কম্পিউটারের শিক্ষক মহম্মদ আলির বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগের কথা সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। পুলিশের আরও দাবি, এই শিক্ষককে মদত দিয়েছিলেন খোদ স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং অ্যাসিসট্য়ান্ট শিক্ষক। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে প্রিন্সিপাল এবং অ্যাসিসট্য়ান্ট শিক্ষক বিরুদ্ধেও বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শাহজাহনপুরের সিনিয়র এসপি এস আনন্দ জানান, “তিলহার থানায় যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৮ জন নির্যাতিতা নাবালিকার বয়ান নেওয়া হবে।” শিশুসুরক্ষা কমিটিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তিলহারের সার্কেল অফিসার প্রিয়াঙ্ক জৈন জানান, মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ আলি কম্পিউটার শেখানোর নামে নাবালিকাদের উপর যৌন হেনস্তা করতেন। এমনকী এই কাজে তাঁকে মদত করেন প্রিন্সিপাল অনিল পাঠক এবং আরেক শিক্ষক শাজিয়া। এক ছাত্রী সাহস করে তাঁর অভিভাবকদের সমস্ত ঘটনা জানিয়েছিল। এরপর তাঁরা স্কুলে গিয়ে আনাচে-কানাচে খুঁজে শৌচালয় থেকে প্রচুর কন্ডোম পান। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপরই গ্রামের প্রধানই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। তারপরই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।