গত ছয় ঘন্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিতে মায়ানমার সিত্যে সমুদ্র বন্দর অভিমুখে এগোচ্ছে মোকা। অতি প্রবল শক্তিশালী ঘুর্নিঝড় হিসেবেই এগোচ্ছে মোকা। ল্যান্ডফল লোকেশন সিত্যে থেকে তার সর্বশেষ উপগ্রহ চিত্র দুরত্ব গতকাল রাত আড়াইটায় ছিল ২৬০ কিলোমিটার। সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ আরও প্রায় ৮০ কিলোমিটার এগিয়ে সিত্যে থেকে মোকার দুরত্ব প্রায় ১৮০ কিলোমিটার। বেলা বারোটা থেকে একটার মধ্যে তার সম্ভাব্য ল্যান্ডফল হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় তার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার হবে বলেও জানা গিয়েছে। সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ ঘন্টায় ২১০ কিলোমিটার থাকবে।
কেন সুপার সাইক্লোন হয়ে উঠল মোকা?
মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকার দ্রুত শক্তি বাড়ানোর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ অবশ্যই বঙ্গোপসাগরের গরম জল। সাধারণত, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের জলতলের তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে হয়। জলতলের ৪ মিটার নীচে পর্যন্ত এই তাপমাত্রা থাকা জরুরি। মোকা যে পথে এগিয়েছে, সেই মধ্য বা পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে কোথাও কোথাও জলতলের তাপমাত্রা ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছিল’।
ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রের জল থেকেই জ্বালানি খুঁজে নেয়। তাই মোকার ক্ষেত্রে সেই জ্বালানির বিন্দুমাত্র ঘাটতি হয়নি। ঘটনা হল, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব জুড়েই তাপমাত্রা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে সমুদ্রের জলেও। যত গরম জল, তত তীব্র ঘূর্ণিঝড়। এই নিয়মেই অতি প্রবল বা সুপার সাইক্লোন হয়ে উঠল মোকা।