কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের প্রাণ যাওয়ার ঘটনাকে টার্গেট কিলিং বলে দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার

শনিবার কালিয়াগঞ্জ ও দাঁড়িভিটে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দেখা করেন কালিয়াগঞ্জে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবার ও পাঁচ বছর আগে দাঁড়িভিট কাণ্ডে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে। দাঁড়িভিটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, কালিয়াগঞ্জের মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু আসলে টার্গেট কিলিং।

কালিয়াগঞ্জের মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের ঘটনাতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে তার পরিবার। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কালিয়াগঞ্জে সিবিআইয়ের দাবির কারণ, গ্রামবাসী এবং পরিবার বলছে পুলিশ খুন করেছে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে।” তিনি দাবি করেন,”আমার সবটা শুনে মনে হয়েছে এটা টার্গেট কিলিং। যেভাবে নাম জিজ্ঞেস করে গুলি চালানো হয়েছে এটা মোটেও পুলিশের আত্মরক্ষার জন্য চালানো গুলি নয়। এটা পুলিশ টার্গেট কিলিং করেছে। ” তাঁর আরও অভিযোগ, “একের পর এক এই ধরনের ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলায় ঘটে চলেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার এসপির বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাকে এখান থেকে সরানো দরকার, কিন্তু এখনো সরানো হয়নি।”

কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের চাঁদগাও গ্রামে গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ শনিবার বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতেও যান। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সব রকম ভাবে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সুকান্তবাবু৷ কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি থেকে শুরু করে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনার পর কালিয়াগঞ্জ থানার একাংশে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকেও। থানায় হামলা ও পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল ভোর রাতে চাঁদগাও গ্রামে তদন্তে যায় পুলিশ। ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযানের সময় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে এক যুবককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন পরিবারের সদস্যরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.