৪৯ বলে অপরাজিত ১০৩, সূর্যের দাপটে গুজরাতের বিরুদ্ধে ২১৮ রান তুলল মুম্বই

শুরুটা করেছিলেন রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিশন। পাওয়ার প্লে-তে ৬১ রান তুলে নেন তাঁরা। সকালটাই নাকি বুঝিয়ে দেয় দিন কেমন যাবে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসের শুরুটা যখন হয়েছিল, সূর্যকুমার যাদব তখনও সাজঘরে। তিনি ব্যাট করতে নামতেই সূর্যের তাপেই ঝলসে গেল গুজরাত টাইটান্সের বোলিং। ৪৯ বলে শতরান করলেন সূর্যকুমার। শেষ বলে ছক্কা মেরে শতরানের গণ্ডি পার করেন তিনি।

টস জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই রান তাড়া করে সব ম্যাচ জিতেছে। তাই সুযোগ পেয়ে রোহিতদের আগে ব্যাট করিয়ে নেন হার্দিক। কিন্তু তাতে যে সূর্যকুমার এমন ভাবে খেলবেন কে ভেবেছিল। আইপিএলে প্রথম বার শতরান করলেন সূর্যকুমার। এর আগে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তিনটি শতরান ছিল তাঁর।

রশিদ খান চার ওভারে ৩০ রান চার উইকেট নেন। কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটাই তিনি নিতে পারেননি। এক ওভারে রোহিত এবং ঈশানকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের স্পিনার। পরের ওভারেই নেন নেহাল ওয়াদেরার উইকেট। মোহিত শর্মা ফেরান বিষ্ণু বিনোদকে। টিম ডেভিডের উইকেটটিও নেন রশিদ। কিন্তু সূর্যকুমারের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। তিনি একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন। ১১টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন সূর্যকুমার।

গুজরাতের সামনে ২১৯ রানের লক্ষ্য রাখল মুম্বই। ওয়াংখেড়ের মাঠে যা অসম্ভব নয়। কিন্তু গুজরাতের কোনও ব্যাটারকে বড় ইনিংস খেলতে হবে। জুটি গড়তে হবে। মুম্বইয়ের বাকি ব্যাটাররা ৫০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। সূর্যকুমার একাই ১০৩ রান করে দলের রান ২১৮ রানে পৌঁছে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.