শেখ মুজিবুর রহমান তার ঘনিষ্ঠ মহলে প্রায়ই বলতেন…বাংলাদেশের হিন্দুদের সামনে তিনটি পথ খোলা আছে…
১)স্বেচ্ছায় মুসলমান হয়ে যাওয়া!
২)খুন হয়ে যাওয়া!
৩)প্রান বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়া!
(সাহিত্যিক মালাম আজাদ,,ভাঙা মাঠ ১৯৭৮)
১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্থানের লক্ষ্যে পাকিস্তানী সেনারা হাজার হাজার হিন্দু নিধন শুরু করলো! অগণিত হিন্দু মেয়েদের ধর্ষন করা হল,, খুন করা হল অজস্র শিশু কে….
হাজার হাজার হিন্দু যুবক দেশ রক্ষার জন্যে যোগ দিল মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী তে!
কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার এই যে…সে যুদ্ধে মুসলমানদের মৃত্যু হল না! অত্যাচার হল না,, আর দেশ ছেড়ে পালিয়েও আসতে হল না!
কিন্তু কেন??
ইন্দিরা গান্ধীর হস্তক্ষেপে ভারতীয় সেনাদের প্রবল বিক্রমে পাকিস্তানী সেনারা পরাস্ত হল ….
যুদ্ধ শেষে ৯৩ হাজার পাকিস্থানী সেনা কে বন্দী করা হল!
আর হঠাৎ-ই রাতারাতি শেখ মুজিবুর রহমানও পাকিস্তানের বন্দী হয়ে গেল!
এই মুজিবুরই মুসলীম লীগের প্রতিনিধি হিসাবে ১৯৪৬ সালে দিল্লী তে জিন্নার ডাকা কনভেনশনে শহীদ সোহারাওর্দীর সাথে ডাইরেক্ট অ্যাকশান কর্মসূচী তে যোগ দিতে গেছিল!
পাকিস্থান মুজিবুরের পন হিসাবে ৯৩ হাজার পাকিস্তানী সেনার মুক্তি দাবী করলো!
ব্যাপার টা বেশ নাটকের মত ঘ্যামা না?
কিন্তু কথা হচ্ছে….ইন্দিরা গান্ধী কাশ্মীর সমস্যা সমাধান না করে এবং একজন ব্যাক্তির জন্যে হাজার হাজার হিন্দু হত্যাকারী পাকিস্তানী সেনাদের মুক্তি দিল কেন?
যে মুজিবুরের নোয়াখালি, মুলাদি,ঢাকা মত দাঙ্গার নেপথ্যে অদৃশ্য হাত ছিল!
এ রহস্য কখনো সমাধান হবে না….একটি সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে বোঝা যাবে উদ্দেশ্য একটাই হিন্দু নিধন এবং ইসলামী ফ্যাসিবাদ স্থাপন!