শালিনী তুমি জান্নাত দেখেছো? সিরিয়ায় আছে।
জানো, জান্নাতে এক নীল সমুদ্র আছে, যার চরে তোমার ইচ্ছাপূরণের তারাগুলোকে আশমান থেকে টুক টুক করে পেড়ে নেওয়া যায়।
শালিনী জানো, ই.সলামে পুনর্জন্ম বলে কিছু শব্দ নেই। তুমি যদি একবার আল্লাহকে স্মরণ করো তাহলে আল্লাহ তোমাকে সেই জান্নাতে রেখে দেবে।
শালিনী তুমি জানো, যারা আল্লাহকে মানে না তারা কাফের হয়। আর আল্লাহ কাফেরদেরকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে। যে আগুন সাধারণ আগুনের থেকে ৭ গুন বেশি শক্তিশালী।
শালিনী তুমি খুব সুন্দর দেখতে। আল্লাহ তোমাকে এমন ভাবে বানিয়েছে যে তোমার মেকআপের প্রয়োজন নেই।
শা-লি-নী,
তুমি লিপস্টিক লাগিও না। লিপস্টিক ব্যবহার করা ই.সলামে হারাম।
শালিনী, তুমি মোবাইল ব্যবহার করো না। ই.সলামে মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ।
রামিজ, এ কি করছো? আমি প্রেগন্যান্ট। আর তুমি যা করছো সেটাকে রেপ বলে। আর তুমিই বলেছিলে না? ই.সলামে রেপকে গুনাহ হিসেবে দেখা হয়। যৌনতার জন্য ক্ষুদার্থ রামিজ শালোয়ারের ফিতে খুলতে খুলতে বলে, “ই.সলামে মেয়েদের জায়গা হলো বাচ্চাদের জন্ম দেওয়া আর রান্না করা”।
রামিজ তুমি যে জান্নাতের কথা বলেছিলে সিরিয়া তো তা নয়। এ তো তোমাদের জাহান্নামের নিদর্শন। রামিজ এই রেগিস্তানে এতো মৃতদেহ কিসের? রামিজের উত্তর আসে, ওরা কাফের। আল্লাহ কাফেরদেরকে ক্ষমা করে না।
হতবাক শালিনী আর প্রশ্ন করে না, তোমাদের আল্লাহ এত রাগী কেন? আল্লাহ যদি সর্বশক্তিমান হয় তাহলে তার মধ্যে মায়া নেই কেন?
তোমাদের আল্লাহ হিন্দু বা কাফেরদেরকেই কেন আগুনে দগ্ধ করবে?
আল্লাহ মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধই বা করে কি করে? আল্লাহ যখন আইন বানিয়েছে তখন তো মোবাইল আবিষ্কার হয়নি।
মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফিরে আসা, শালিনী পুলিশের কাছে সব স্বীকার করলেও পুলিশ জানায় তাদের আইনে Innocence -এর কোন জায়গা নেই। কেননা সে ISIS.এর কাছে সন্ত্রাসবাদের ট্রেনিং নিয়েছে তাই সে অপরাধীই।
শালিনী বুঝতে পারে তার আর ঈশ্বরের দেশ কেরালাতে ফেরা অসম্ভব। তার খুব মা’কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে ইচ্ছে করে। যা এখন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তবু সে মা’কে ফোন করে বলে, মা আমি ভালো আছি। আমি ফিরে আসবো খুব তাড়াতাড়ি।
শালিনী, শালিনী… তুমি ফিরে এসো। এসে তোমার ইচ্ছাপূরণের তারার গল্প শোনাও আমাদের।
শ্রী রাজা দেবনাথ