দ্যা কেরলা স্টোরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। দেশজুড়ে সিনেমাটি চললেও বাংলার ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ। সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিনেমাটির নির্মাতারা। সে মামলাটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ পাঠিয়েছে।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, তামিলনাড়ু সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থার হয়ে আদালতে সাওয়াল করেন আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে তিনি জানান, আইন শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে সিনেমাটির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তার আগেই সিনেমাটি তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। তামিলনাড়ুতে সিনেমাটি প্রদর্শন রুখতে হল। মালিকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, সিনেমাটি রাজ্যে চালানো হলে আইন শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল।
তবে দু’পক্ষের সাওয়াল জবাবের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, সিনেমাটি সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় আলাদা নয়। তারপরই তার প্রশ্ন কেন পশ্চিমবঙ্গে সিনেমাটি নিষিদ্ধ করবে? একইসঙ্গে তারা আরও বলেন, যদি মানুষ মনে করেন সিনেমাটি দেখবেন না, তবে তারা দেখবেন না।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছবিটিকে নিষিদ্ধ করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অশান্তি এড়াতে ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ছবি নির্মাতারা। অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তারা। ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছেন, ছবিটি দেখে তারপর কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে। তিনি বলেন, ছবিটি দেখলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গর্বই হবে বাঙালি হয়ে একজন এমন ছবি বানাতে পেরেছে দেখলে।