দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ক্রমেই উত্তরের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দিল্লির মৌসম ভবন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৬ ঘণ্টা ধরে ‘মোকা’র গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। দুপুর আড়াইটের সময় আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। বাংলাদেশের কক্সবাজারের ১,১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মায়ানমারের সিত্ত্বের ১,০৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে ‘মোকা’।
মৌসম ভবনের পূ্র্বাভাস, বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ক্রমে উত্তর দিকে এগোতে এগোতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ‘মোকা’। শুক্রবার ভোরে ‘মোকা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তার পর ক্রমে গতি পরিবর্তন করে মোকার উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে ১৪ মে, রবিবার দুপুরে কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কাউকপুর মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় মোকার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।
‘মোকা’র প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দামানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনি এবং রবিবারও ‘মোকা’র প্রভাবে আন্দামানের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ‘মোকা’র প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার ত্রিপুরা এবং মিজোরামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার, ১৪ মে এই দুই রাজ্যের কিছু জায়গায় হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। রবিবার নাগাল্যান্ড, মণিপুর, দক্ষিণ অসমেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে আন্দামান সাগর, দক্ষিণ-পূর্ব এবং মধ্য-পূর্ব বঙ্গোপসাগর। বৃহস্পতিবার তা হয়ে উঠতে পারে উত্তাল। শুক্র এবং শনিবার সমু্দ্র প্রবল অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। মৎস্যজীবীদের ১৪ মে পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।