উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে জামা মসজিদের জায়গায় নীলকন্ঠ মহাদেবের মন্দির ছিল। সেই মন্দির ভেঙ্গেই পরে মসজিদের রূপ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি হিন্দু মহাসভার। মন্দির ভেঙ্গে জামা মসজিদ তৈরি হয়েছিল কিনা তার সত্যতা যাচাই করতে এএসআইকে যে সমীক্ষা করানোর আবেদন জানিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সমীক্ষা করতে রাজি হয়েছে ভারতের পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
বারবারই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের একাধিক মসজিদ আসলে মন্দির ধ্বংস করেই তৈরি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও মসজিদের পাতালে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। সেই সত্যতা যাচাই করতে জ্ঞানব্যাপী মসজিদেও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের খননকার্য সমীক্ষা চলছে। এবার জামা মসজিদেও সেই একই সত্যের অনুসন্ধান শুরু করতে চলেছে এ এস আই।
মন্দিরের ওপরে মসজিদ তৈরি হয়েছে। হিন্দু মহাসভার এই দাবি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্কের অবসান ঘটাতে মহাসভার দাবি মেনে বাদায়ুন আদালতে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি মুকেশ প্যাটেল আদালতে আবেদন জানান, জামা মসজিদ আসলে মন্দির ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছে। তিনি দাবী করেছিলেন, নীলকন্ঠ মহাদেবের মন্দির ধ্বংস করে এই জামা মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। তাই তিনি দাবি করেছিলেন, এ এসআইকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হোক।
এরপর এএসআই রাজ্য সরকার, মসজিদ কর্তৃপক্ষকে পার্টি করে মামলা শুরু হয়। সেই মামলায় এএসআই এর মত জানতে চেয়েছিল আদালত। এএস আই জানিয়েছে জামা মসজিদে পুরাতত্ত্ব সমীক্ষা করতে তারা রাজি। তার জন্য আবেদন পত্র পেশ করার সময়ও চেয়েছেন তারা।
হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বেদ প্রকাশ জানিয়েছেন, এএসআইকে ১৫ দিন সময় দিয়েছে আদালত, তার মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী ৩০ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।