কেরলে হাউসবোটের দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও সেই ঘটনায় উদ্ধারকাজ চলছে। তার মাঝেই এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ জানাল পুলিশ।
কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় রবিবার সন্ধ্যায় পর্যটকবোঝাই হাউসবোট ডুবে যায়। মালাপ্পুরম পুলিশ জানিয়েছে, নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক ওঠানো হয়েছিল। ভার রাখতে না পেরে সেটি উল্টে গিয়েছে বলে তাদের অনুমান। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাউসবোটটির চালক পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। কী ভাবে, কোন পরিস্থিতিতে নৌকাটি উল্টে গেল, কার গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা, সবটাই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে মালাপ্পুরম পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হাউসবোটের চালকের নাম নজ়র। দুর্ঘটনার পর থেকেই তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিযোগ, ছোট নৌকাতে ঠাসাঠাসি করে পর্যটকদের তোলা হয়েছিল। ৩০ জনের বেশি ছিলেন একটি নৌকাতেই। ভিড়ের কারণেই নৌকাটি উল্টে দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মালাপ্পুরমের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র থুভাল থিরাম। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই একটি জলাশয়ে হাউসবোটে থাকার আনন্দ উপভোগ করছিলেন পর্যটকেরা। নৌকাটি হঠাৎ উল্টে যায়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। দ্রুত উদ্ধারকাজে হাত লাগায় তারা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃত ২২ জনের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। আরও ৭ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেরলের এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে রবিবার রাতে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এত প্রাণহানিতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। ওই টাকা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে।
কেরলের দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘কেরলে হাউসবোট উল্টে দুর্ঘটনায় অনেক শিশু-সহ ২০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় আমি গভীর ভাবে শোকাহত। মৃতদের ঘনিষ্ঠদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তাঁদের পাশে আছি।’’