মহাষ্টমীর সকালে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন জানেন মুকুল রায়

রবিবার অষ্টমীর দিনে স্বপরিবারে নিজের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে অষ্টমীর অঞ্জলি দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। অন্যান্য বারের মতই এবছরেও সপরিবারে নিজের বাড়ির পুজোয় মাতলেন মুকুল রায়। সকাল থেকে পরিবারের লোক ও তার কর্মীদের নিয়ে নিজের কাঁচরাপাড়ার ৫৩ নম্বর ঘটক রোডের বাড়িতে দূর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তার বিধায়ক পুত্র শুভ্রাংশু রায় । সকলে মিলে মেতেছেন পুজোতে সেই সঙ্গেই চলছে রাজ্য রাজনীতি নিয়ে আলোচনা ও চর্চা।

পরিবারের সঙ্গে অঞ্জলি দেওয়ার পর মুকুল রায় বলেন, আজ মহা অষ্টমী, কাল মহা নবমী, পরশু দশমী। এমন সেই দশমীতে পুরোহিত মশাই আসেন ঘণ্টা বাজিয়ে দেন লাল সুতোটা ছিড়ে দেন আর বলেন ঠাকুরের ভাষান হয়ে গিয়েছে। বাংলার অবস্থা হচ্ছে এই মূহূর্তে তেমন। রাজ্য সরকারের ঘট ভাষান হয়ে গিয়েছে।এখন প্রতিমাটা বির্সজনের অপেক্ষা, চাঞ্চল্যকর মন্তব্য মুকুলের।

শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন যে, এবারে পুজোয় মায়ের কাছে প্রতিবারের মতো এবারও বললাম বাংলায় যে কয়েক বছর ধরে অশুভ শক্তির দাবদাবানি চলেছে মা এই অশুভ শক্তির দাবদাবানি বন্ধ কর এবং বাংলার মাকে বাংলার মানুষকে শান্তিতে বসবাস করতে দাও ।”

সিবিআইয়ের তলপ নিয়ে মুকুল রায় বলেন “আমার নিজের মনের কাছে পরিষ্কার। যতো বার আমায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকবে আমি যাবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পালিয়ে যাওয়ার মতো মানুষ আমি নই বলে মন্তব্য মুকুল রায়ের। উল্লেখ্য, কাকুলি ঘোষদস্তিদার সিবিআইকে লিখিত ভাবে নারদের টাকা চাঁদা হিসাবে নেওয়া কথা জানান। যান নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুকুল বলেন” কাকুলি দেবীর এই বক্তব্যের জবাব মমতা দেবীকে দিতে হবে ।”

মুকুল রায় এদিন আবারও অভিযোগ করেন যে ” আমি হাইকোর্টের বেলে রয়েছি তা সত্বেও আমাকে আজ মহা অষ্টমীর দিন বলা হয়েছে একটা মামলায় ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে সাহায্য করতে। আজকে যেহেতু মহা অষ্টমী তাই আমি চিঠি দিয়ে জানিয়েছি আজ আমি যেতে পারব না দশমীর পর যে কোন দিন যেতে রাজি আছি। এটাই হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র ।”

রাজীব কুমার ইসুতে তিনি বলেন “এই বিষয়ে রাজ্য সরকার উত্তর দেবে কারন, রাজীব কুমার যে ভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার ফলে বাংলার যে মুখ ভারতবর্ষের কাছে খারাপ হয়েছে ।”তিনি আরো বলেন যে”সব্যসাচী দত্তের পর আরও অনেকে বিজেপিতে আসার তালিকায় আছে ।” অপর দিকে শুভ্রাংশু রায় বলেন যে” আজ বন্ধু ও পরিবারকে নিয়ে দিনটা কাটাব ।”এদিন শুভ্রাংশু রায় তৃণমূল দলের মানুষজনকে অশুর বলে কটাক্ষ করে বলেন যে “বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মানুষজনকে অস্ত্র দেখিয়ে তৃণমূলে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শুভ্রাংশু আরও বলেন যে, মা তাদের ক্ষমা করুক। তবে তৃণমূলে যাওয়া ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ লোক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেই মন্তব্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.