যদিও সম্প্রতি ফেনীর জল ত্রিপুরায় অবৈধভাবে পাম্প করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিল ঢাকা। সেই বিতর্কে জল ঢাললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি সফরে শনিবারই শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয় হাদরাবাদ হাউসে। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন নদীর জল বন্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিস্তা জলবন্টন জট কাটেনি। তবে ,’মানবিকতা’ খাতিরেই ফেনী নদীর ‘পানি’ ভারতে পাঠাতে রাজি বাংলাদেশ সরকার। ত্রিপুরার সাব্রুমবাসী এই ফেনী নদীর জল পাবেন। বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক জল নিতে পারবে ভারত।
বৈঠকে উঠে আসে সম্প্রতি ফেনী নদীর জল নেওয়া।
পরে স্থির হয় এই জল যাবে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের জল সরবরাহ প্রকল্পে এক নজরে ফেনী নদী: ১. ভারত-বাংলাদেশে আন্তঃসীমান্ত নদী। ২. নদীটির দৈর্ঘ্য ১৫৩ কিলোমিটার। ২. ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে সীমান্তরেখা এই নদী। ৩. নদীর নামেই বাংলাদেশের ফেনী জেলা। ৪. চট্টগ্রাম পেরিয়ে এই নদী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। কূটনৈতিক বৈঠকে ফেনীর জলবন্টন নিয়ে বিতর্ক আপতত মিটল বলেই মনে করা হচ্ছে ।
নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্য়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই সাতটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। এর অন্যতম- ১. বঙ্গোপসাগর উপকূল এলাকায় যৌথ নজরদারি। ২. চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই। ৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অফ হায়দরাবাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।