জাতীয় সড়কে ফের শ্যুটআউট? আসানসোলে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হল এক বিজেপি নেতার রক্তাক্ত দেহ। গত ১ এপ্রিল বর্ধমানের শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের উপরে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা-কে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঠিক এক মাসের মধ্যে সেই জাতীয় সড়কের উপরেই একই কাণ্ড।
শনিবার জামুড়িয়ার চান্দা মোড়ের কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে দাঁড়িয়েছিল একি স্করপিও গাড়ি। মৃতদেহটি পাওয়া যায় সামনের সিটে। জানা যাচ্ছে নিহত ব্যক্তির নাম রাজেন্দ্র কুমার সাউ। তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান গুলি করেই খুন করা হয়েছে রাজেন্দ্রকে। একটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে জামুডিয়া থানার পুলিস। তার ঘাড়ে গুলি লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয় একটি গুলির খোল।
পুলিস সূত্রে খবর, দুর্গাপুর থেকে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল ওই স্করপিয় গাড়িটি। সেখানেই সামনের সিটে পাওয়া যায় রাজেন্দ্র দেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। শক্তিগড়ের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা-র খুনের এক মাস আগে আসানসোলে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ির পেছনের দিকে খুন হন এক হোটেল ব্যবসায়ী। সেখানে পুলিস কমিশনারের অফিস। সেখানেই সন্ধে বেলায় খুন হন ওই ব্যবসায়ী। আগের দুটি খুনের কিনারা হয়নি। এবার ফের একটি খুন।
মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই ঘঠনাস্থলে ছুটে আসেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের অনেকেরই দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলে যেকটি খুন হয়েছে সেইসব খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিস। গতকালও এলাকার এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব করে। এতে এলাকার মানুষের মতে এক আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
জামুড়িয়া বিধানসভার বিজেপির আহ্বায়ক সাধন মাঝি বলেন, তিনটে নাগাদ বোগড়া কালী মন্দিরের কাছে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। দেখা যায় উনি বিজেপি কর্মী। আসানসোল কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে রানী সায়রের বাসিন্দা। নাম রাজেন্দ্র কুমার সাউ। উনি বিজেপির বহু পুরনো কর্মী। তাঁকে সম্ভবত গুলি করে খুন করা হয়েছে। একটি গাড়ির মধ্য়ে মৃতদেহটি ছিল। কীভাবে এই মৃত্যু তা আমরা জানতে চাইছি। এই জায়গাতে গত সপ্তাহে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।