হিলিতে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে এবারে সরাসরি তোলাবাজি করার অভিযোগ
আরটিও ও এমভিআয়ের বিরুদ্ধে। লরি প্রতি তিন হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানিয়ে জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের। সোমবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়েছে গোটা জেলাতে। অভিযোগপত্র পেয়ে সুনির্দিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে, বললেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা।
হিলির আন্তর্জাতিক বহিঃর্বাণিজ্য কেন্দ্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুশোরও বেশি মাল বোঝাই লরি বাংলাদেশে যায়। যে লরিগুলি থেকেই তোলাবাজি চালাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক সন্দীপ সাহা ও এমভিআই বলে অভিযোগ। ঘটনা জানিয়ে জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, আমদানি রপ্তানি ব্যবসায় স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হবার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন লরি মালিকরা। বিগত ছয় মাস ধরে তাদের ব্যবসা না থাকায় চরম দূরবস্থায় পড়ে অনেকেই, ইতিমধ্যে লরি বিক্রি করে ফেলেছেন। সেইসব লরি চালকদের উপর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা চাপিয়ে দিয়েছেন আরটিও ও এমভিআই।হিলিতে তোলাবাজি করছে সরকারি আধিকারিক! আরটিও ও এমভিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জেলাশাসককে চিঠি ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের
তাদের অভিযোগ, মালবোঝাই প্রত্যেকটি লরির ক্ষেত্রে তিন হাজার টাকা এবং পাথর বোঝাই লরির ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা করে তুলছে আরটিও ও এমভিআই। যাদের দৌরাত্ম্যে লরি মালিকদের কার্যত নাভিশ্বাস উঠবার জোগাড়। যা দিতে অস্বীকার করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করছেন ওই সরকারি আধিকারিক বলেও অভিযোগ। আরটিও ও এমভিআইয়ের এমন তোলাবাজি বন্ধ না হলে আগামীতে লরি মালিকরা তাদের সমস্ত গাড়ির কাগজপত্র সরকারের কাছে তুলে দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে। যা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। সরকারি চেয়ারে বসে একজন আধিকারিক কিভাবে এমন
তোলাবাজি করছেন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। মাসের পর মাস আরটিও ও এমভিআয়ের এমন তোলাবাজি সীমান্ত এলাকায় অব্যাহত থাকলেও কেনই বা নিশ্চুপ রয়েছে প্রশাসন তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
যদিও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, আরটিওর বিরুদ্ধে এমন একটি লিখিত অভিযোগ তার কাছে জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে বিষয়টি ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টকে জানানো হয়েছে। যারাই এই বিষয়টি দেখবেন এবং তার বিরুদ্ধে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।