রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ায় অর্পিতার দুই ফ্ল্যাটে এত টাকা কে রাখল? কী ভাবেই বা এল এই টাকা? এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। চলেছে নানা আলোচনা। সোমবার এই টাকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্পিতার বাড়িতে এত টাকা পৌঁছল কী ভাবে? প্রশ্ন শুনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘খুঁজে বার করুন।’’
শিক্ষায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। ওই সময়েই টালিগঞ্জে পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এক সঙ্গে এত নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
এই টাকা কার? কোথা থেকে এল? আগেও এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন পার্থ এবং অর্পিতা। এই প্রসঙ্গে আগে পার্থ বলেছিলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে এর থেকে বেশি কিছু ভাঙেননি। তবে অর্পিতা দাবি করেছিলেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে,তার সবটাই পার্থের। অর্পিতা এ-ও দাবি করেছিলেন যে, বাড়িতে কত টাকা রাখা আছে তা তিনি জানতেন না। পার্থের কর্মীরা মাঝেমধ্যেই এসে টাকা রেখে দিতেন বলেও দাবি করেছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে টাকা রাখা হত, সেই ঘরে তাঁর কোনও প্রবেশাধিকার ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন অর্পিতা।
সোমবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল পার্থকে। আদালত থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের মুখোমুখি হন পার্থ। সেই সময়ই টাকার প্রসঙ্গ ওঠে। অর্পিতার বাড়িতে টাকা উদ্ধারের প্রশ্নে সংক্ষিপ্ত জবাব দেন পার্থ। তবে আর কিছু বলেননি তিনি।