শিক্ষকের লালসার শিকার ছাত্রী! অভিযোগ পেয়েই তৎপর পুলিস। গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনাস্থল, হুগলির বলাগড়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম তাপস মাহাতো। বাড়ি, বলাগড় থানারই গুপ্তিপাড়া চরকৃষ্ণবাটি এলাকায়। স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তিনি। আবার ক্রিকেট অ্যাকাডেমিও চালান।
নির্যাতিতা কিশোরী পিতৃহারা। অল্প বয়েসেই বাবাকে হারিয়েছে সে। মামার বাড়িতে থাকে। স্রেফ প্রাইভেট নয়, তাপসের কাছে ক্রিকেটেরও তালিম নিত ওই নাবালিকা। মামার অভিযোগ, ভাগ্নীকে ধর্ষণ করেছে তার শিক্ষকই। কীভাবে? প্রায় এক ধরে নাকি ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালান অভিযুক্ত! এরপর মাস খানেক আগে যখন ফের একই ঘটনা ঘটে, তখন বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর আইনি পদক্ষেপ করতে চাইলে, ওই শিক্ষক বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চান বলে অভিযোগ।
শনিবার রাতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তাপস মাহাতোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় গুপ্তিপাড়া ফাঁড়িতে। নির্যাতিতা মামা পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁর ভাগ্নিকে মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন শিক্ষক। নানা প্রলোভন দেখাতেন। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে।