ব্রিটেনে পাঠরত হিন্দু শিশু কিশোরদের ধর্ম পরিবর্তনে চাপ দিচ্ছে তাদের সহপাঠী মুসলিম পড়ুয়ারা। ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলির ইশারায় এই কাজ তারা করছে বলে জানাগেছে। সম্প্রতি লন্ডনের হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি নামে একটি সংস্থার এই বিষয় সংক্রান্ত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসে, তাতেই তোলপাড় হয়েছে সে দেশের শিক্ষা মহল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশের বহু স্কুলে দিনের পর দিন এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। স্কুলে পড়া হিন্দু সহপাঠীদের তাদের মুসলিম বন্ধুরা বলছে সে যদি ভালো জীবন পেতে চায় তাহলে যেন ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়ে যায়। একই সঙ্গে মুসলিম বাচ্চারা দাবি করে, হিন্দু শিশুরা যদি ধর্ম পরিবর্তন করতে না চায় তাহলে তাদের নরকে যেতে হবে। এমনকি এই নিয়ে তারা সরাসরি হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে এই সমস্ত মুসলিম পড়ুয়াদের পরিচালনা করছে বিভিন্ন মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠন। দাবি করা হয়েছে ব্রিটেনের হাজারটির বেশি স্কুল ও ৯৮৮ জন হিন্দু অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। হিন্দু অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তাদের সন্তানরা স্কুলে হিন্দু বিদ্বেষী মনোভাবের শিকার হয়েছে। ১৯ শতাংশ অভিভাবক জানিয়েছেন, স্কুল চাইলেই হিন্দু বিরোধী মনোভাব রুখতে পারে। তবে ১৫ শতাংশ স্কুল জানিয়েছে স্কুলের তরফে যথাযথ পদক্ষেপও করা হয়েছে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর। প্রায় ১০০ টি স্কুলে গত ৫ বছরে হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে ব্রিটেনের বহু জায়গায় স্কুলের মধ্যে হিন্দু সহপাঠীদের তাদের ধর্ম দেবদেবী নিয়ে অবমাননাকর কথা বলা হয়েছে প্রকাশ্যে। হিন্দুদের নিরামিষ খাওয়া নিয়ে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে ছোট ছোট শিশুদের। এমনকি এক হিন্দু কিশোরীর গায়ে গোমাংস ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, একটি হিন্দু ছাত্রকে ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হয়ে তিনবার স্কুল বদল করতে হয়েছে। হিন্দু বাচ্চাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যারাই সমীক্ষা চালিয়ে ছিল তাদের দাবি, এই ঘটনার প্রভাব ব্রিটেনের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর পড়তে পারে।