শেষ পর্যন্ত সের্জিও লোবেরাকে পাওয়ার রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল। সপ্তাহ খানেক আগেই, চলতি মাসের শুরুতে লোবেরার কোচ হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করেছিল লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু এ বার লোবেরার এজেন্ট জানিয়ে দিল চিনের ক্লাব ছেড়ে এসে কলকাতায় কোচিং করানোর সিদ্ধান্ত জানাতে এখনও পনেরো-কুড়ি দিন সময় লাগবে তাঁর। এই পরিস্থিতিতে ক্লাব নতুন কোচ খুঁজে নিতে পারে। যার পরেই লোবেরা-মোহ কেটে গিয়েছে লাল-হলুদের। লগ্নিকারী সংস্থা ও ক্লাব নতুন ভাবে কোচ খুঁজে দল গঠন করতে আসরে নেমে পড়েছেন।
লাল-হলুদের নতুন কোচ হওয়ার দৌড়ে সে ক্ষেত্রে উঠে আসছে বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রাক্তন কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত, আলবার্তো রোকা বা ওড়িশা এফসি-র প্রাক্তন কোচ জোসেফ গাম্বিউয়ের মতো ভারতে কোচিং করিয়ে যাওয়া প্রশিক্ষকের নাম। কেউ কেউ এটিকে-মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের নাম ভাসিয়ে দিলেও স্পেনীয় এই কোচের লাল-হলুদ প্রশিক্ষকের জোব্বা পরার সম্ভাবনা বেশ কম।
এফসি গোয়া ও মুম্বই সিটি এফসি-র প্রাক্তন কোচ সের্জিও লোবেরার সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। চিনা লিগের দল সিচুয়ান জিউনিউ থেকে রিলিজ নিয়ে স্প্যানিশ কোচ সই করবেন লাল-হলুদে এমনটাই আশা করা গিয়েছিল। লোবেরার পাঁচ বিদেশি সাপোর্ট স্টাফের আর্থিক খরচও বহন করতে রাজি হয়ে গিয়েছিল ক্লাব। ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারাও ক্লাব তাঁবুতে বসে মার্চ মাসের শেষে জানিয়ে দিয়েছিলেন দিন পনেরো-কুড়ির মধ্যেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করে দেবেন তাঁরা। নববর্ষের শুরুতেই নাম ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লোবেরা আসছেন না বলেই খবর। তিনি নাকি যেতে পারেন আইএসএলের দল ওড়িশা এফসিতে।
চিনা ক্লাবের তরফ থেকে রিলিজ না পাওয়ার কথা বলে ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন লোবেরার এজেন্ট। যদিও তিনি ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি কথাবার্তা চালাচ্ছিলেন আইএসএল-এর অন্য ক্লাব ওড়িশা এফসি, এমনকি সিটি গ্রুপের দল উরুগুয়ে লিগের মন্টিভিডিও সিটি টর্কের সঙ্গেও। শুক্রবারেই জানা যায়, চিনের ক্লাব ছাড়ছেন লোবেরা। চিনা ক্লাবটির অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন জেসুস টোটো। ময়দানের খবর, লাল-হলুদের মতো সমর্থকভিত্তিক ক্লাবে কোচিং করানো ও প্রত্যাশার চাপের সঙ্গে সামাল দিতে পারবেন না ভেবেই নাকি লোবেরা কলকাতার বদলে ওড়িশা এফসিকে বেছে নিয়েছেন। যদিও এ ব্যাপারে লোবেরা সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।