হংকং-এ টানা গন্ডগোল, গোল্ডেন ভিসা নিয়ে বিদেশে পালানোর সুযোগ খুঁজছেন ধনীরা

কয়েক মাস আগে থেকে চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে হংকং-এ। গত কয়েক মাসে অশান্তি পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। এই অবস্থায় দ্বীপ শহর ছেড়ে পালানোর সুযোগ খুঁজছেন ধনীরা। সেই সুযোগে বিভিন্ন দেশ তাঁদের গোল্ডেন ভিসার অফার দিয়েছে।

বিভিন্ন দেশের সরকার ধনী হংকংবাসীদের প্রস্তাব দিচ্ছে, আপনারা যদি আমাদের দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনাকে নাগরিকত্ব দেব। অনেকেই এই গোল্ডেন ভিসা অফার নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। একইসঙ্গে সম্পত্তি বিমা করানোর কথাও ভাবছেন অনেকে। কারণ আন্দোলনে অনেকের সম্পত্তির ক্ষতি হচ্ছে।

গত জুন মাসে চিনা সরকার হংকং নিয়ে একটি বিল আনে। তাতে বলা হয়েছিল, হংকং-এ কেউ অপরাধ করে ধরা পড়লে তাকে বন্দি করে চিনের মূল ভূখণ্ডে পাঠানো যাবে। হংকং-এর বাসিন্দাদের ধারণা হয়, ওই বিল আইনে পরিণত হলে চিন দ্বীপ শহরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে শুরু করবে। এর পরে বিল প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। চিন বিলটি প্রত্যাহার করার পরেও আন্দোলন থামেনি। এই অবস্থায় হংকং-এর ধনীরা বিশ্বের নানা প্রান্তেই পালাতে চাইছেন। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও ক্যারেবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই যেতে চেয়েছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হংকংবাসী। অ্যান্টিগুয়া ও বারদুদার মতো দেশ প্রস্তাব দিয়েছে,  অন্তত ১ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করলে নাগরিকত্ব দেবে। সাইপ্রাস প্রস্তাব দিয়েছে, তাদের দেশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হবে ২০ লক্ষ ইউরো। তবে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে।

হংকং-এর জন হু মাইগ্রেশন কনসালটিং জানিয়েছে, জুনের পর থেকে গোল্ডেন ভিসা বিক্রির পরিমাণ চার গুণ বেড়েছে। সংস্থার প্রধান জন হু বলেন, বিক্ষোভ দিন দিন আরও হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। এই অবস্থায় গোল্ডেন ভিসার চাহিদা বেড়েছে।

আরটুন ক্যাপিটাল নামে আর একটি ইমিগ্রেশন কনসালটেন্সি সংস্থা জানিয়েছে, অনেক হংকংবাসী চাইছেন পর্তুগালে চলে যেতে। কারণ সেখানে জমি ও বাড়ি সস্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.