আসানসোলে এখন ৪২ ডিগ্রী তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরমে বন্ধ রয়েছে সমস্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠন পাঠন। কিন্তু গরমের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, শিক্ষা কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই টানা ৩৭ দিন ধরে আন্দোলন চলছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী দুর্নিতীগ্রস্ত। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।
ইতিমধ্যেই এই আন্দোলন বেআইনি বলে হাইকোর্টে মামলা করেছেন উপাচার্য। পাল্টা সোমবারই রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছেন আন্দোলনকারীরা। তিনি ১৫ মিনিট সময় দিলেও ১ ঘন্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার কথা শুনেছেন। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছেন কোর্ট মিটিং ডাকার। যেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন আচার্য নিজেই। আর এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
কারণ এই রেজিস্ট্রারকেই অনৈতিকভাবে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। এই ঘটনাকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রতিবাদে নেমেছিলেন। তখন থেকেই লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়। সেই বরখাস্ত হওয়া রেজিস্ট্রারকেই যখন আচার্য কোর্ট মিটিং ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন তখন ধরে নিতে হবে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত বেআইনি ছিল।
এই ঘটনা সামনে আসার পর মিষ্টিমুখ করেন আন্দোলনকারীর। তাঁরা স্পষ্ট জানান উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাঁরা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইনে প্রতিবছর কোর্ট মিটিং ডাকার নিয়ম। আয় ব্যায়ের সমস্ত হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে আচার্যের উপস্থিতিতে এই মিটিং ডাকা হয়। কিন্তু কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর থেকে একবারও কোর্ট মিটিং হয়নি।