সকাল হতে না হতেই চড়া রোদ। বেলা গড়ালে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে দেশের ৯ রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। এই ৯ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। পাশাপাশি ওড়িশা, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, সিকিমেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক দিন ধরেই তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। রাজ্যের ২০টি শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে ছিল। আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি পড়শি রাজ্য ওড়িশা, বিহারেও পারদ চড়ছে। ওড়িশার একাধিক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। বিহারের পরিস্থিতিও এক। সোমবার পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় ছিল। মঙ্গলবারও ওই ২ রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সোমবার তেলঙ্গানার জয়শঙ্কর ভুপালপল্লি জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৪ ডিগ্রি। এ ছাড়াও ওই ৯ রাজ্যের একাধিক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে গত রবিবার মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৩ জনের। ‘মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বহু মানুষ। চড়া রোদে খোলা আকাশের নীচে বসেছিলেন দর্শকরা। তার জেরেই হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও অনেকে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাদুড়েরও। ওড়িশার জাজপুর জেলায় হিট স্ট্রোকে কমপক্ষে ৮টি বাদুড়ের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও পারদ চড়বে বলে জানাল হাওয়া অফিস।