অর্থনীতির বিকাশের হার কমেছে। বেকারত্বের হারও যথেষ্ট বেশি। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুক্রবার রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৫.১৫ শতাংশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক যে সুদে অন্যান্য ব্যাঙ্ককে স্বল্পমেয়াদী ঋণ দেয়, তাকে বলে রেপো রেট। ওই সুদের হার কমালে ধরে নেওয়া হয় অন্যান্য ব্যাঙ্কও কম সুদে ঋণ দিতে পারবে। তার ফলে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে। তেজি হবে অর্থনীতি।
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের সভাপতিত্বে আর্থিক নীতি কমিটি বৈঠকে বসে। কমিটির ছয় সদস্যই রেপো রেট কমানোর পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে পাঁচ বার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
কিছুদিন আগে এক সংবাদ সংস্থা বিভিন্ন অর্থনীতিবিদকে প্রশ্ন করে, ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাঁরা একবাক্যে বলেছিলেন, রেপো রেট কমানো ছাড়া উপায় নেই। সেদিক থেকে বলা যায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে রেপো রেট কমাবে তা প্রত্যাশিতই ছিল।
একইসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বিকাশ হবে ৫.৩ থেকে ৬.১ শতাংশ।
আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিকাশ হবে ৬.৬ থেকে ৭.২ শতাংশ।