ডঃ আম্বেদকর যখন গৌতম বুদ্ধ এবং কমিউনিজমের বিচারধারার তুলনা করছেন সেই সময় সোভিয়েত রাশিয়ায় বিপ্লব করে কমিউনিজমের প্রতিষ্ঠা হয়ে তিন দশক পার হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব কমিউনিজমের নামে হত্যা , একনায়কতন্ত্র দেখে নিয়েছে। যে মতাদর্শের প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য থাকে না, তাকে প্রশ্ন করেছেন বাবাসাহেব ইতিহাস কে স্বাক্ষী করে। সোভিয়েত রাশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন সাম্য , স্বাধীনতা ও মৈত্রীর যে বাণী ফরাসী বিপ্লবের মাধ্যমে গোটা দুনিয়াকে আলোড়িত করেছিল তার মধ্যে শুধুমাত্র ‘সাম্য’ কে নিজেদের মতাদর্শের মূল করতে গিয়ে মানুষকে মহামূল্যবান ‘স্বাধীনতা’র সঙ্গে আপোস করতে বাধ্য করা হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধ ‘সাম্য’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন কিন্তু তা অবশ্যই অহিংসার মাধ্যমে , পঞ্চশীলের অভ্যাসের মাধ্যমে চরিত্রের উন্নয়ন করে । কিন্তু যে সমাজতন্ত্রকে ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’ নাম দিলেন মার্ক্স তা প্রতিষ্ঠা করতে এবং টিকিয়ে রাখতে এতো রক্ত দিয়ে দাম দিতে হয় ? ৯০ এর দশকে সোভিয়েত রাশিয়ায় কমিউনিজমের পতনের সঙ্গেই সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে, সে দেশের মানুষ লেনিনের মূর্তি ভেঙ্গেছে। গণহত্যাকারী একনায়কতন্ত্র শুধু সোভিয়েত রাশিয়াতেই নয় ; কম্বোডিয়াতে পল পট , চীনে মাও জে দং কমিউনিজমের পতাকার নীচে ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’-এর বাণী শুনিয়েছে।কৃষক-শ্রমিক দরদীর ছদ্মবেশে সেনানায়কদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিউবা থেকে চীন পর্যন্ত। কমিউনিজম এখন প্রত্যাখ্যাত কিন্তু যেখানে মানুষ এখনো বন্দুকের নলের ক্ষমতার সামনে সাহস করে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নি , টীকে আছে সেইসব দেশে।
তাই ডঃ আম্বেদকর নিজের ‘বুদ্ধ অথবা কার্ল মার্ক্স’ বইতে যে প্রশ্নগুলো করেছিলেন তা আমাদের জানা প্রয়োজন…..
“কমিউনিস্টরা কি বলতে পারে যে তাদের মূল্যবান পরিণতি অর্জনে তারা অন্য মূল্যবান পরিণতিগুলিকে ধ্বংস করেনি? তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। ধরে নিলাম যে এটি একটি মূল্যবান পরিণতি কমিউনিস্টরা কি বলতে পারে যে তারা এটি অর্জনের প্রক্রিয়ায় অন্য মূল্যবান পরিণতি ধ্বংস করেনি? কত মানুষকে হত্যা করেছে তাদের মূল্যবান ফলের জন্য ? মানুষের জীবনের কি কোন মূল্য নেই? মালিকের জীবন না নিয়ে তারা কি সম্পত্তি দখল করতে পারত না?”
কম্বোডিয়ায় কমিউনিস্ট নেতা পল পট হোক বা কিউবার চে গুয়েভারা যে হত্যালীলা চালিয়েছে তার নৃশংসতা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। কমিউনিস্টরা ভারতে ডঃ আম্বেদকরের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া সংবিধান কে সামনে রেখে বাক-স্বাধীনতার কথা বলেন, কখনো ডোকলাম হোক বা প্যানগং লেক, ভারত-চীন সেনারা মুখোমুখি হলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা চীনের সুবিধার কথা বলেন কারণ চীনে কমিউনিজমের পতাকাতলে সরকার চলছে বা একনায়কতন্ত্র চলছে।একের পর এক নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়লে তারা ভারতবর্ষের গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করেন কিন্তু কমিউনিজমে কি গণতন্ত্রের কোনো স্থান আছে? চীন সারা বিশ্বকে করোনা মহামারি উপহার দিয়েছে, সারা বিশ্ব চীনের সমালোচনায় মুখর কিন্তু চীনের কোনো সংবাদপত্রের ক্ষমতা নেই যে তারা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলে। খুলবে কি করে? তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ারে ছাত্র বিক্ষোভকে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক দিয়ে স্তব্ধ করে দিয়ে চীন দেখিয়ে দিয়েছে কমিউনিজমে গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ বলে কিভাবে ক্ষমতা দখল করতে হবে। মাও জে দং এর কথায় ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বন্দুকের নল। মাওবাদ হোক বা মার্ক্সবাদ , সবই তো কমিউনিজমের বিভিন্ন রূপ কিন্তু রূপ যাই হোক, মানসিকতা এক। ডঃ আম্বেদকর স্পষ্টভাবে বলেছেন যে কোনো দেশে ক্ষমতায় আসতে কমিউনিস্টদের পন্থা কি গৌতম বুদ্ধ এবং কার্ল মার্ক্স -এর বিচারধারার মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে ডঃ আম্বেদকর বলেছেন —-
“কমিউনিস্টদের দ্বারা গৃহীত উপায়গুলি সমানভাবে স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং দ্রুত। সেগুলো হল (১) হিংসা এবং (২) সর্বহারা শ্রেণীর একনায়কত্ব।
কমিউনিস্টরা বলে যে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় দুটি। প্রথমটি হিংসা। বিদ্যমান ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্য এর চেয়ে কম কিছুই যথেষ্ট হবে না। অন্যটি সর্বহারা শ্রেণীর একনায়কত্ব। নতুন ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এর থেকে কম কিছুই যথেষ্ট হবে না”।
কমিউনিস্টরা মনে করেন যে মার্ক্স এর দেখানো সমাজতন্ত্র অনিবার্য কিন্তু তা যে সত্য নয় তা বাবাসাহেব দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলেছেন
মার্ক্সীয় তত্ত্বের সমাজতন্ত্রের অনিবার্যতা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হওয়া ছাড়াও , তালিকাভুক্ত অন্যান্য প্রতিপাদ্যগুলিও অভিজ্ঞতা ও যুক্তির ভিত্তিতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।এখন কেউ অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাসের ব্যাখ্যাকে একমাত্র ব্যাখা হিসেবে গ্ৰহণ করেন না।কেউই স্বীকার করে না যে প্রলেতারিয়েত ( সর্বহারা ) ক্রমবর্ধমানভাবে দরিদ্র হয়েছে। এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য। [ডঃ ভীমরাও রামজী আম্বেদকর (বুদ্ধ অথবা কার্ল মার্ক্স)]
মার্ক্স এর তত্ত্ব অনুযায়ী যেখানে শিল্প বিপ্লবের ফলে মালিক ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে সম্পদের অসম বন্টন হবে সেখানে দুই শ্রেণীর মধ্যে সংগ্ৰামের ফলে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু কি হয়েছে?কমিউনিস্টরা প্রথম ক্ষমতা দখল করে সোভিয়েত রাশিয়ায়। কিন্তু সেখানে কোনো শ্রমিক বিদ্রোহ হয় নি। মার্ক্স এর তত্ত্ব অনুযায়ী, বিপ্লবের সম্ভাব্য জায়গা ছিল ইংল্যান্ড বা ইউরোপের দেশগুলোতে কিন্তু সেখানে শিল্পায়ন বৃদ্ধি পেলেও আজ পর্যন্ত কমিউনিজমের অঙ্কুরোদগম হয় নি। আর ‘সর্বহারার একনায়কত্ব’ প্রতিষ্ঠার মধ্যবর্তী সোপান হিসেবে সোভিয়েত রাশিয়া, চীন,কিউবাতে যে সেনানায়করা ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তার অবসান কবে হবে সে নিয়ে ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’-এর প্রবক্তারা কোনো কথা বলেন না। এ যেনো ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ । ‘সর্বহারার’ নামে সেনানায়ক দেশ চালাচ্ছে যাদের ক্ষমতা , অর্থ, ভোগের সমস্ত ব্যবস্থা আছে। চীন হোক বা সোভিয়েত রাশিয়া কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখলের পরেও লক্ষ লক্ষ কৃষকের হত্যা হয়েছে। সোভিয়েত রাশিয়ায় যৌথ খামার পদ্ধতির বিরোধিতা করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ কৃষক প্রাণ হারিয়েছিল।
মানুষ যখন নিজেকে সর্বশক্তিমান মনে করে , মানুষের মতকে প্রাধান্য দেয় না বা যে মতপ্রতিষ্ঠার জন্য মানুষের প্রাণকেও তুচ্ছ জ্ঞান করা হয় , আর যাই হোক তাকে ‘বৈজ্ঞানিক’ পদ্ধতি বলা মানুষের রক্ত দেখে নিষ্ঠুর হাসির সঙ্গে সমতুল্য। যে কোনো পদ্ধতি সফল হতে পারে তখনই যখন প্রতিটি মানুষ নিজের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন আর অন্য মানুষ ও প্রকৃতির সমস্ত জীবের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। মানুষ কে নৈতিকতার সেই স্তরে নিয়ে যাওয়ার পথ হচ্ছে ‘আধ্যাত্মিকতা’ । কিন্তু আধ্যাত্মিকতাকে কমিউনিজম মান্যতা দেয় না। ডঃ আম্বেদকর বলছেন —
“বুদ্ধ কখনই হিংস্রতাকে সমর্থন করতেন না, কিন্তু কমিউনিস্টরা করে। নিঃসন্দেহে কমিউনিস্টরা দ্রুত ফল পায় কারণ আপনি যখন একজন মানুষকে নিশ্চিহ্ন করার উপায় অবলম্বন করেন, তখন তারা আপনার বিরোধিতায় উপস্থিত হতে পারে না। মানবতা শুধু অর্থনৈতিক মূল্যবোধ চায় না, আধ্যাত্মিক মূল্যবোধও ধরে রাখতে চায়। স্থায়ী কমিউনিস্ট একনায়কত্ব আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের প্রতি কোন মনোযোগ দেয়নি এবং মনে হয় না সেইরকম কোন সদিচ্ছা তাদের আছে।
[ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর (বুদ্ধ অথবা কার্ল মার্কস)]
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুও তাঁর ‘The Indian Struggle’ বইতে দ্বিধাহীনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কেনো ভারতবর্ষে কমিউনিজম সফল হবে না। সুভাষচন্দ্র বসু যে দুটি কারণ বলেছেন তার মধ্যে অন্যতম দুটি কারণ ডঃ আম্বেদকরের সঙ্গে মিলে যায়।একটি কারণ হল কমিউনিজম আধ্যাত্মিকতাকে স্থান দেয় না যা ভারতে কমিউনিজমের সফলতার পথে বাধা।আর দ্বিতীয় কমিউনিজম ইতিহাস কে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করে অর্থাৎ অর্থনৈতিক বৈষম্য বা আর্থিক কারণেই পৃথিবীর ইতিহাসে যত বড় বড় পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ভারতবর্ষে আমরা পাই রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা যিনি দান করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসতেন। আমরা জানি, গুরু সমর্থ রামদাসের ইতিহাস যার পরামর্শে ছত্রপতি শিবাজী ‘হিন্দভী স্বরাজ’ এর প্রতিষ্ঠা করেন কিন্তু সমর্থ রামদাস? বিলাসবহুল জীবন থেকে দূরে ধর্মচর্চা নিয়ে ব্যস্ত। শিবাজী যখন গুরুকে নিজের প্রাসাদে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি প্রত্যাখান করেন। মৌর্য্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের গুরু কে? চাণক্য। চাণক্য সম্পদের জন্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কে শস্ত্র ও শাস্ত্রের জ্ঞান দিয়ে ছোটো থেকে বড় করেন নি , করেছিলেন ধর্ম রক্ষার্থে নন্দ রাজাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে। নিজে থাকতেন নগরের প্রান্তে এক কুটিরে। ভারতবর্ষে রাজাও স্বাধীন ছিল না কোনোকালে।তাকে ধর্মের বিধান দিতেন যে গুরু তার পরামর্শে রাজাকে ধর্ম রক্ষা করতে হতো। কিন্তু গুরুর কাছে কাউকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। গুরুর কাছে জ্ঞান ছিল, অর্থ ছিল না। ভারতবর্ষে ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ করেছেন গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী। শ্রী চৈতন্যদেব থেকে স্বামী বিবেকানন্দ। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে জাগরণ করেছেন ত্যাগ দিয়ে, রক্তের বিনিময়ে নয়। আর চীনে ‘Cultural Revolution’ এ মাও কতলক্ষ মানুষ মেরেছে তার উত্তর ‘গুগল’ খুঁজলেই পাওয়া যাবে।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন হোক বা বিশ্ব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কমিউনিস্ট ঐতিহাসিকরা তাকে ব্যাখা করেছেন অর্থকে কেন্দ্র করে। কিন্তু ভারতের সংবিধানের রূপকার ডঃ আম্বেদকর হোক বা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ইতিহাস কে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যাকে ভুল বলেছেন।
[Fourthly, the materialistic interpretation of history which seems to be a cardinal point in Communist theory will not find unqualified acceptance in India, even among those who would be disposed to accept the economic contents of Communism.—- The Indian Struggle]
ভারতবর্ষ , সভ্যতার জননী। যে কোনো তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আগে ভারতের ইতিহাস কে, তাঁর দর্শনকে বোঝা আবশ্যিক।তা না করে যারা যারা বিদেশের তত্ত্ব দিয়ে দেশকে বোঝার চেষ্টা করবে, তাদের তত্ত্বে ভারতবর্ষের সমাজকে ব্যতিক্রম হিসেবেই পাবে।
ভারতীয় দর্শনকে যিনি বিশ্বমঞ্চে সফলভাবে তুলে ধরেছিলেন সেই বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক ডঃ সর্ভেপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যখন কমিউনিস্ট সোভিয়েত রাশিয়ার সূর্য মধ্যগগনে সেই সময়, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করাকে ভুল বলেছিলেন। [A culture is not a superstructure of the material means of production as the Marxist believe.— Dr. Sarvepalli Radhakrishnan]
ধর্মকে, সংস্কৃতি কে আধার মেনে একটি রাষ্ট্র ‘সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ সর্বে সন্তু নিরাময়াঃ’ মন্ত্রে করোনার ভ্যাক্সিন দেয় আর একটি দেশ যারা নিজেরা করোনা মহামারি দিয়েছে পৃথিবীকে , তারা সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আর্থিক মুনাফার চেষ্টা করেছে। কিন্তু চীনে যখন কয়েক হাজার বছর আগে ভারতীয় ঋষিরা নিজেদের জ্ঞান নিয়ে গিয়েছিল , যখন ফা হিয়েন ও হিউয়েন সাং নালন্দায় এসেছিল সেইসময় চীন এরকম ছিল না। কিন্তু যখন ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’-এর নামে সংস্কৃতির ভীত হিসেবে অর্থকে দেখতে শিখলো আর ‘সর্বহারার একনায়কত্বে’র নামে সেনানায়ক ক্ষমতা দখল করলো তখন থেকে চীন বদলে গেছে।
এইরকম তত্ত্বের বৈজ্ঞানিকতা কতটা তার বিচার পাঠকের বিজ্ঞানমনস্কতা দ্বারা হবে, বন্দুকের নল দ্বারা নয়।
পিন্টু সান্যাল