সরাসরি যুদ্ধ নয়। আড়াল থেকে নাশকতা ছড়ানো হচ্ছে অন্তর্জালে। যার পোশাকি নাম ‘সাইবার সন্ত্রাস’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের রিপোর্ট জানাচ্ছে, সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার একটি হ্যাকার গোষ্ঠীর সঙ্ঘবদ্ধ হামলা চালানো শুরু করেছে এ দেশে। তাদের নিশানায় প্রায় ১২ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট।
সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের সতর্কবার্তা জানাচ্ছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিকে অচল করে দেওয়াই এই সাইবার হানার উদ্দেশ্য। ভারতের ভৌগোলিক এলাকার পাশাপাশি ভার্চুয়াল পরিসরেও গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে হানা দিচ্ছে পাকিস্তানি এবং চিনা হ্যাকাররা। স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিকাঠামো, ব্যাঙ্কিং এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র তাদের নিশানা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তেমনই উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ধরনের হামলার মূল লক্ষ্য দু’টি— প্রথমত, সফ্টঅয়্যার ভাইরাস ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, নানা ভুল তথ্য ঢুকিয়ে দিয়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের ওয়েবসাইটগুলিকে বিকল করে দেওয়া। প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতেও দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থাকে ‘ডিজিটাল হস্টেজ’ বানানোর লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিল পাক এবং চিনা হ্যাকারেরা। উদ্দেশ্য ছিল, যাতে প্রয়োজনের সময়ে রোগীর চিকিৎসার তথ্য না-মেলে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ফাইল পাওয়া না-যায়।