অধিনায়ক রোহিত শর্মার অর্ধ শতরানের উপর ভর করে, হারের হ্যাটট্রিকের লজ্জা থেকে বাঁচল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় পাঁচবারের আইপিএল জয়ী দল। ব্যাটিং-বোলিং, সব বিভাগেই ডেভিড ওয়ার্নারের দিল্লি ক্যাপিটালসকে সব বিভাগেই টেক্কা দিল মুম্বই। শেষ দিকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়লেও, একেবারে শেষ বলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ল মুম্বই।
চেজ করতে নেমে দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করেন রোহিত ও ঈশান কিশান। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে দুই ওপেনার প্রথম উইকেটে ৭১ রান তুলে দেন। কিন্তু এরপরেই ছন্দপতন। রোহিতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জন্য রান হলেন ঈশান। বাঁহাতি ওপেনার ২৬ বলে ৩১ রানে ফিরে যান। ঈশান ফিরে গেলেও রান চেজ করতে মুম্বইকে বেগ পেতে হয়নি। তরুণ তিলক ভার্মাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন রোহিত। এরই মাঝে ২০২১ সালের পর অর্ধ শতরানও সেরে নিলেন তিনি। তখন মনে হয়েছিল দিল্লির হার শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ১৬তম ওভারে বল করতে এসে পরপর দুই বলে তিলক ও সূর্য কুমার যাদবকে ফিরিয়ে দেন মুকেশ কুমার। তিলক ২৯ বলে ৪১ রান করলেও, ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। সূর্যর অবস্থা তো আরও খারাপ। এবার ‘গোল্ডেন ডাক’ করে ফিরলেন সূর্য। ১৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন বেশ চাপে মুম্বই।
১৭ ওভারের শেষ বলে সেই চাপ আরও বেড়ে গেল। মুস্তাফিজুর রহমানের শেষ ডেলিভারি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে ছিল। রোহিত সেই বলকে মারতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় অভিষেক পোড়েলের হাতে। শরীরকে শুন্যে ছুঁড়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ ধরলেন বঙ্গ তনয়। ফলে রোহিত ৪৫ বলে ৬৫ রান করে আউট হলেন। তবে এতে দিল্লির কপাল ফিরল না। ১৯তম ওভারের চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে মুস্তাফিজকে দুটি ছক্কা মারলেন ক্যামেরুন গ্রিন ও টিম ডেভিড। ফলে ম্যাচ জিতে গেল মুম্বই।