ভোটে না দাঁড়িয়ে শাসক তৃণমূলকে বেগ দেবে আদিবাসী কুড়মি সমাজ। আজ তা সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুঙ্কার দিলেন গত পাঁচদিন ধরে আন্দোলন করা সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো। তিনি তৃণমূল নেত্রীর সুরেই বলেন খেলা খেলব। অবরোধ তুলে নিলেও নিজেদের তপশিলি উপজাতি করার দাবি থেকে এতটুকুও সরলো না আদিবাসী কুড়মি সমাজ। মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব ফিরিয়ে আজ সেই দাবির স্বপক্ষে নতুন কৌশলে আন্দোলনের ভাবনা শুরু করল তারা।
সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো বলেন, “নতুন করে সার্ভে করে আইসোলেশন রিপোর্ট না পাঠালে কিছুই করা সম্ভব নয়, সিআরআই রিপোর্টে আইসোলেশন একটি অন্যতম নির্ণায়ক।” তিনি উপজাতীয় চরিত্র নির্ধারণের মানদণ্ড হিসেবে ১৯৬৫ সালে বি. এন. লাকুর কমিটি (জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি) যে চারটি বিষয় উল্লেখ করেছে সেগুলি হলঃ-
(i) আদিম বৈশিষ্ট্যের ইঙ্গিত, (ii) স্বতন্ত্র সংস্কৃতি (iii) ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা (iv) ব্যাপকভাবে সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগের সংকোচ। (v) অনগ্রসরতা। এগুলির মধ্যে ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্নতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন অজিত প্রসাদ মাহাতো। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, রাস্তা ঘাট মসৃণ হয়েছে, কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন কুড়মিরা। কাজেই আমাদের দাবির স্বপক্ষে রয়েছে সব কিছু।
রাজ্যের তরফে যে সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছিল তার উপর কমেন্ট-জাস্টিফিকেশন পছন্দ হয়নি কুড়মিদের। বরং তাঁদের একাংশ দাবি করেছিল, কুড়মিরা ভৌগোলিকভাবে জনবিচ্ছিন্ন। তারা মূলস্রোতে মিশতে ভয় পায়। এই বিষয়টি রিপোর্টে লিখতে হবে। কিন্তু বাংলার পরিস্থিতি মোটেও এরকম নয় বলে দাবি প্রশাসনের। ফলে গত কয়েকদিন ধরে দফায়-দফায় বৈঠক করেও সমাধান সূত্র বের হয়নি।