বালুরঘাট হাসপাতালে এক আদিবাসী অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। একুশ বছরের সুমিত্রা সোরেন হাসপাতালে ভর্তি হবার ছয় ঘন্টা পরেও কোনো চিকিৎসক তাকে দেখতে আসেননি বলে অভিযোগ। দীর্ঘ সময় ফেলে রাখার কারণেই তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাসপাতালে জমায়েত করেন মৃতার পরিবার। সুপারের সাথে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার খবর পেয়েই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ছুটে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ দলীয় নেতৃত্ব। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাদের পাশে থাকার সবরকম আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন।
হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাঘের সঙ্গে কথা বলার পর বিজেপি সংসদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বড় আন্দোলনে নামার আর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদার জানান, খুব অল্প বয়সী ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ভর্তি করার পর ডাক্তারকে কল করা হলেও তিনি আসেননি। উল্টে প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন ডাক্তার। বহুক্ষণ ওইভাবে পড়ে থাকার পর ওই আদিবাসী মহিলার মৃত্যু হয়। সুকান্ত এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। তার অভিযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে কোনো চেষ্টাই করে না রাজ্য সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ করার জন্য রাজ্য সরকারকে বার বার বললেও তাদের কোনো হেলদোল নেই। তাই এইভাবে ওই জেলায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক গাফিলতির ঘটনা ঘটছে কিন্তু সরকার নির্বিকার।