করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশই উর্ধ্বমুখী। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে নতুন করে। পর পর দুদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছিল। যদিও রবিবার সে সংক্রমণ সামান্য কমেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে। আগেভাগে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে দুটি রাজ্য একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও মাস্ক ফেরানোর সুপারিশ করেছে।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৩৫৭ জন। গত দুদিন এই সংখ্যাটা ছিল ৬ হাজারের সামান্য বেশি। বর্তমানে গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬১৬। তবে স্বস্তি দিয়ে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ৩.৩৯ শতাংশ।
কিন্তু দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে। বর্তমানে অ্যকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৮১৪। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৬৫। তবে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। ৯৮.৭৪ শতাংশ রোগী করোনাকে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক বছরের বিপদ থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগে সতর্ক হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। তড়িঘড়ি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে কেন্দ্র মাস্ক ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেই মতো জনবহুল এলাকায় মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে হরিয়ানা, কেরল, পদুচেরিতে। এই রাজ্যে সরকারগুলির তরফে বলা হয়েছে সরকারি অফিস, শপিংমল, শহর যে সমস্ত জায়গায় একশোর বেশি মানুষ জমায়েত হয় বা তার সম্ভবনা রয়েছে, সেখানে বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়তে হবে। অন্তঃসত্ত্বা ও বয়স্কদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। পদুচেরিতে জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।