শনিবারের থেকে দেশে সামান্য কমল কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৫৭ জন। গোটা দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৮১৪। গত কয়েক দিন ধরেই কোভিডের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তা দেখে সতর্ক হল বেশ কয়েকটি রাজ্য। জনসমক্ষে মাস্ক বাধ্যতামূলক করল হরিয়ানা, কেরল, পুদুচেরি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, শনিবার দেশে কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ১৫৫। রবিবার তার থেকে একটু কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও এই মুহূর্তে মোট দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ শনিবার দেশে মোট দৈনিক সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ১৯৪। এখন পর্যন্ত দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬১৬ জন।
শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কতটা প্রস্তুত, সেই নিয়ে পর্যালোচনা করেন তিনি। দেশের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলি কোভিড মোকাবিলায় কতটা তৈরি, তা জানতে সোম এবং মঙ্গলবার হবে মহড়া। একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি আশ্বাস দিয়েছেন, কোভিড মোকাবিলায় দেশ প্রস্তুত। প্রতি সপ্তাহে প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তার পরেও কোভিডের চতুর্থ ঢেউ রুখতে সতর্ক হওয়া দরকার।
হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, জনসমক্ষে মাস্ক পরতেই হবে। কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। রাজ্যের সর্বত্র এই বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, নজর রাখার জন্য পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেরলও সন্তানসম্ভবা মহিলা, প্রবীণ এবং অন্য অসুখ রয়েছে এমন নাগরিকদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। সমস্ত হাসপাতালে যাতে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন থাকে, তা স্বাস্থ্য দফতরকে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুদুচেরি সরকারও বিবৃতি জারি করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। হাসপাতাল, হোটেল, রেস্তরাঁ, মদের দোকান, বিনোদন ক্ষেত্র, সরকারি দফতর, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। দিল্লি সরকারও কোভিড পরীক্ষা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, কোভিডের নতুন এক্সবিবি.১.১৬ প্রজাতির কারণে রাজধানীতে বাড়তে পারে সংক্রমণ।