পদ্মশ্রী প্রাপ্ত শিল্পী পূর্ণদাস বাউলের ছেলে দিব্যেন্দু দাস বাউল আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন। কলকাতায় রাজ্য বিজেপি সদর দপ্তরে তাকে দলের নাম ও প্রতীক দেওয়া উত্তরীয় পরিয়ে দেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের হাতে বিজেপির পতাকাও তুলে নেন দিব্যেন্দু। তাঁর কথায়, “আপনারা সকলেই জানেন বাংলার কি অবস্থা, আমি সাধারণ মানুষের কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম। সেই জন্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।”
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাউল সম্রাট পূর্ণদাস বাউলের ছেলের বঙ্গ রাজনীতিতে তথা পদ্ম শিবিরে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ কয়েক মাস আগে বীরভূমের জমি দখল নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন খোদ শিল্পী পূর্ণদাস বাউল ও তার ছেলে উভয়েই। এরপর বিরোধী শিবিরে যোগদানও করলেন দিব্যেন্দু।
দিব্যেন্দু বীরভূমের বাসিন্দা। যে জেলার তৃণমূলের লাইফ লাইন অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে। তাই এই মুহূর্তে বীরভূমের বাসিন্দা, দিব্যেন্দু বাউলের মত জনপ্রিয় শিল্পীর পদ্ম শিবিরে যোগদান করা বিজেপির জন্য যথেষ্ট ফলপ্রসূ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলার জনপ্রিয় শিল্পী ও মানুষের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হবার প্রশ্নের জবাবে, দিব্যেন্দু জানিয়েছেন দল যদি তাকে প্রার্থী করতে চায় তাহলেই তিনি হবেন। তবে তিনি এখন শুধুই মোদীর দলের সদস্য। তার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারা যেভাবে নির্দেশ দেবেন তিনি সেভাবেই এগোবেন।
১৯৭৭ সালে ইলামবাজার থানার কামারপাড়া মৌজায় রাস্তার ধারে চার বিঘা জমি কিনেছিলেন পূর্ণদাস বাউল। কিন্তু ২০০৬ সালের পর থেকেই সেই জমি ধীরে ধীরে জবরদখল হতে শুরু করে বলে অভিযোগ শিল্পীর। তার পরিবারের তরফে বার বার জেলাশাসক ও ভূমি সংস্কারক আধিকারিকের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও খোদ শিল্পী নিজে অভিযোগ করেছিলেন। তারপরেও জানুয়ারিতে সেই জমির মাপজোপের কাজ শুরু হয়। তখন শিল্পী ও তার পুত্র দিব্যেন্দু বলেছিলেন, ওই জমি দখলের পেছনে জমি মাফিয়ারা রয়েছে এবং তাতে রাজ্যের শাসক দল যুক্ত। তাদের দাবি, সেটা যদি না হয় এতদিন ধরে তারা নানা জায়গায় অভিযোগ জানানোর পরেও সেই জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে কিভাবে?