অগ্নিযুগের কথা বাদ দিলে পশ্চিমবঙ্গে এই মূহুর্তে হিন্দুত্ববাদের স্বর্ণযুগ চলছে বললেও ভুল হয় না। এবং হিন্দুত্ববাদের এই হাওয়া দিন দিক বাড়ছে। বাঙালিদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ এর আগে খুব কম সময়েই এত ক
জনপ্রিয় হয়েছিল।
আর এই হিন্দুত্ববাদী আবহাওয়াতেই সারা রাজ্য জুড়ে ৫০০ টি হনুমান জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
রাম নবমীর অনুষ্ঠানে বেশ কয়েক জায়গায় হিন্দুদের উপর পাথরবাজি আর চাপাতি নিয়ে আক্রমণ হলেও তাতে দমে যেতে একেবারেই নারাজ ভিএইচপি নেতারা। তবে
ভিএইচপি জাতীয় সহকারী সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ পিটিআইকে জানিয়েছেন যে রাজ্যে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে কোনও অস্ত্র বহন করা হবে না।
তাঁর কথা মতো‚ “রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫০০টি ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আমরা খুব বেশি র্যালি করব না এবং মাত্র কয়েকটি অনুষ্ঠান হবে। সমাবেশের সময় কোন অস্ত্র বহন করা হবে না।”
অস্ত্র না নেওয়ার সাথে রাম নবমীর আক্রমণ এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এর মাঝে কোনো সম্পর্ক মানতে অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন‚ “রাম নবমীতে সমাবেশ করা হয়, এবং হনুমান জয়ন্তীর সময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারের রাম নবমীর সময় সমস্যাগুলির সাথে এর কোনও সম্পর্ক নেই”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে রামনবমীতে বেশ কিছু সমস্যা হয়েছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল‚
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি এবং হাওড়া জেলায় রাম নবমীর শোভাযাত্রায় পাথরবাজি ও ধারালো অস্ত্র সহ আক্রমন। ওই দুটো জেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে হনুমান জয়ন্তী উদযাপনের সময় শান্তি বজায় রাখতে রাজ্য পুলিশকে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অনুরোধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
শচীন্দ্র সিংহ আদালতের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি সাম্প্রতিক রাম নবমী উদযাপনের সময় সহিংসতার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন‚
“রাজ্য সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল”।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বেশ কিছু সম্ভাব্য উত্তেজনাময় এলাকার পুলিশের রুটমার্চ চলছে।