স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবকদের মিলিত আয়োজনে শহীদ রামেশ্বর বিদ্যামন্দিরে হইহই করে পালিত হল মহাত্মা গাঁধীর সার্ধশতবর্ষ জন্মজয়ন্তি।
অ্যালবার্ট আইন্সটাইন যাঁকে পরবর্তী প্রজন্মের রোল মডেল বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন মহাত্মা, নেতাজী বলতেন জাতির জনক, নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁকে আদর্শ মেনেছেন, পাঁচবার নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন তিনি, তাঁর জন্মদিনে বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস, ভারতের স্বাধীনতা, শিক্ষা, সমাজ গঠন প্রক্রিয়ার যাবতীয় কর্ম তাঁর কাছে চির ঋণী। সেই তিনি মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধী। এমন একজন মানুষকে ছেলেমেয়েদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়াই ছিল আজকের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। অবশ্য বুধবার, ২ অক্টোবর রাজ্য তথা দেশব্যাপী গাঁধীজির জন্মসার্ধশতবর্ষ উদযাপনের শুভ সূচনা হয়েছে। সেই বিপুল কর্মযজ্ঞে সামিল হল দমদমের অঞ্চলের সুপরিচিত শিক্ষালয় শহীদ রামেশ্বর বিদ্যামন্দিরও।
পড়াশুনোর পাশাপাশি খেলাধুলো তথা সংস্কৃতি চর্চায় এই বিদ্যালয়ের সুনাম দীর্ঘদিনের। সত্তর বছরের দীর্ঘ যাত্রাপথে অমরপল্লী সংলগ্ন এই বিদ্যালয় সমাজের নানান স্তরে স্বকীয়তায় প্রতিষ্ঠিত। কেবল আবির্ভাব বা তিরোধান দিবসেই জাঁকজমক সমারোহ নয়, মনীষীচর্চা এই বিদ্যালয়ের নিত্য সূচির মধ্যে পড়ে। সেই রীতি মেনেই আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল মহাত্মা গাঁধীর জন্ম দিবস।