৩০ জন স্বয়ংসেবককে হত্যার হুমকি দিল জেহাদীরা
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত “অখন্ড ভারত” এর জন্য তার ধারণা প্রকাশ করার তিন দিন পরেই ৩০ জন স্বয়ংসেবককে হত্যার হুমকি দিলো জেহাদীরা। বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমু কালানির ১০০ তম জন্মদিনের সম্মানে তিনি একটি উদযাপনে এই মন্তব্য করেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সিন্ধি জনগোষ্ঠীর সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বেশ কয়েকজন সদস্যকে হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এই দলটি পাকিস্তান-ভিত্তিক জেহাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার একটি প্রক্সি সংগঠন। জানুয়ারিতে সরকার এদের নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে।
সরকার বলছে যে তারা হুমকির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে।
এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছে যে„ “আরএসএস এর সাথে যুক্ত বেশিরভাগ মুসলিম নেতাদের টিআরএফ হুমকি দিয়েছে, আমরা এর সত্যতা নিশ্চিত করছি। ” দক্ষিণ ও উত্তর কাশ্মীর এবং জম্মু অঞ্চলে সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের ওয়েবসাইটে এটা প্রকাশ করেছে।
অন্য এক কর্মকর্তার মতে‚ “এই ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলি সাধারণত জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরকে হুমকি দেয়।……টিআরএফ-এর মতো সংগঠনগুলি বেশিরভাগই তাদের হুমকি দেয় যাদের তারা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করে।”
হুমকি চিঠিগুলি এমন সময়ে এসেছে যখন রাজ্য প্রশাসন প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অর্থাৎ এই হত্যার হুমকি কাশ্মীরকে আবার অশান্ত করার প্রক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই না। কারণ কাশ্মীর অশান্ত থাকলে তবেই জঙ্গি সংগঠনগুলোর দাপট বজায় থাকবে।
এছাড়াও আরএসএস ক্রমবর্ধমান প্রভাবও জঙ্গিদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই তারাও আরএসএস কার্যকর্তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য‚ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহর আমন্ত্রণে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল স্থল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে ঈদের কাছাকাছি সময়ে কাশ্মীর সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৩টির মতো বিরোধী দলের নেতারা দিল্লিতে বৈঠক করেছিলেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
এই হত্যার হুমকি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাঁধাদানের চেষ্টাও হতে পারে।
এর আগে ১লা এপ্রিল, আরএসএস এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত দাবি করেছিলেন যে স্বাধীনতার সাত দশকেরও বেশি সময় পরেও, পাকিস্তানের জনগণ অসন্তুষ্ট এবং এখন মনে করে যে ভারত ভাগ করা একটি ভুল ছিল।
বিভক্ত ভারত বাস্তব হলেও তা একটি দুঃস্বপ্ন!
সৌভিক দত্ত