জম্মু-কাশ্মীরে একবার উন্নয়ন শুরু হয়ে গেলে পাকিস্তানের আর কিছু করার থাকবে না। বরং ৭০ বছর ধরে উপত্যকাকে অশান্ত রাখার যে ছক তারা সাজিয়ে এসেছে, সেটা পুরোপুরি বানচাল হয়ে যাবে। মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের একটি অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আমেরিকার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে জয়শঙ্কর বলেন, “দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। উপত্যকার স্থানীয়দের উস্কানি দিচ্ছে। সীমান্তে দাদাগিরি ফলাচ্ছে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পরে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াই ছিল সবচেয়ে বেশি। এই সব খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে।”
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ বা রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাঙার ফলে ভারতের বাইরের মানচিত্রে যে রদবদল ঘটেনি, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই টেনে এনেছেন উপত্যকার নিরাপত্তার প্রসঙ্গে। জয়শঙ্কর বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে মোবাইল বা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার মূল উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে দাঁড়ি টানা। উপত্যকার মানুষদের যাতে অযথা বিভ্রান্ত না করা হয়, নাশকতার ছড়ানোর চেষ্টা না হয়।
বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “৭০ বছর ধরে কাশ্মীরের ফায়দা তুলেছে পাকিস্তান। এতদিন ধরে কাশ্মীরকে ভারতের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এই আলাদা থাকার সুযোগ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষদের ভুল বুঝিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে জইশ, হিজবুল বা লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠন। কাশ্মীরের মানুষদের উন্নয়ন হয়নি। তার সুযোগ নিয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু এখন কাশ্মীরও ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতোই। তাই ৭০ বছর ধরে চালানো এই সন্ত্রাস আর চালাতে পারছে না পাকিস্তান। তাদের এতদিনের চালানো সন্ত্রাসের মডেল ব্যর্থ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছে তারা।”
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন ট্রাম্প। কাশ্মীর প্রসঙ্গে দুই দেশের মধ্য মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, কোনও দেশ কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিতেই পারে। এ বার সেই মধ্যস্থতার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে কি না তা স্থির করবে ভারত।