কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনে সুপারি কিলারের দল! রাজু বেরনোর খবর আসতেই সোর্স’ মারফৎ পৌঁছে যায় কাঁকসার বাঁশকোপার কাছে লুকিয়ে থাকা সুপারি কিলারদের কাছে। রাজুর গাড়ি সেখানে আসামাত্র তারা পিছু নেয়। কমপক্ষে দু’টি গাড়িতে ছিল খুনিরা। একটি নীল রঙের মারুতি বালেনো এবং অন্যটি ডিজায়ার মডেলের। একটিতে বসেছিল অন্তত দু’জন শার্প শ্যুটার। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রাজুর গাড়ি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে থামতেই শুরু হয়ে যায় ‘অ্যাকশন’। একটি গাড়ি থেকে নেমে দুষ্কৃতীরা কয়লা কারবারির গাড়ির কাঁচ ভাঙে। এরপর দ্বিতীয় গাড়ি থেকে নেমে আসে দুই শার্প শ্যুটার। দু’হাতে অত্যাধুনিক পিস্তল থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। ঝাঁঝরা হয়ে যায় রাজুর দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য হাতে এসেছে পুলিসের।
প্রসঙ্গত, পুলিসের অনুমান, দুষ্কৃতীরা শুটআউটের পর ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে গিয়েছে। কারণ, আততায়ীরা সুপারি কিলার। আর তারা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিসের একটি দল তদন্তের জন্য ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আততায়ীরা জামতাড়া গ্যাঙের সদস্য হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিস। শনিবার ভরসন্ধ্যায় শক্তিগড়ের কাছে জাতীয় সড়কের উপর একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন রাজু ঝা। অপারেশন শেষ হয় মাত্র দেড় থেকে দু’মিনিটেই!