যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের আত্মার শান্তি জন্য পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়ে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অমিত বলে গিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করতে হবে। প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।
নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এনআরসি নিয়ে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি একটি অন্তর্দলীও সভায় করেছেন অমিত। সেই সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মোর্চা ও জেলার সভাপতির উপস্থিত ছিলেন। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে সাধারণ কর্মীদের প্রবেশ করার অধিকার ছিল না। সেই বৈঠকও কয়েকটি অংশে বিভক্ত ছিল। বৈঠকের প্রথম পর্বের পর শুধু শীর্ষ নেতৃত্বই ছিল। বাকিরা বেরিয়ে আসেন। প্রত্যেক বিজেপি কার্যকর্তাকে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে। বলে হয়, এটি গোপনীয় বৈঠক।
সূত্রের খবর, অমিত শাহ বলেছেন, খুন হওয়া কর্মীদের কথা বলেই শেষ করেননি, বিধানসভা নির্বাচনে আগের দল কীভাবে পরিচালিত হবে সে ব্যাপারেও সম্যক ধারণা দিয়েছেন। দলে নির্বাচন পক্রিয়া চলছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাস, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি এবং এন আর সি, নাগরিকত্ব বিল নিয়েই প্রচারে থাকবে বিজেপি তা তিনি জানিয়েছেন। তবে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আগে এটি কোনও সুদৃঢ় ‘রোডম্যাপ’ নয়, বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী দল চলবে, তা জানিয়েছেন অমিত।
এন আর সি এর আগে হবে সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল বা সি এ বি। সেক্ষেত্রে, এই বিলের সমর্থনে রাজ্য বিজেপি নেতাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখার পরামর্শ দিয়েছেন অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, বিজেপির সদস্য সংখ্যা কম নয়। এই রাজ্যে সদস্যতা অভিযান শেষ হওয়ার ওর দেখা গিয়েছে ৭০ লাখেরও বেশি সদস্য হয়েছে। বর্তমানে তা প্রায় ৮৫ লাখেরও বেশি। এই বিপুল সদস্যের অর্ধেকও সি এ বি এর সমর্থনে চিঠি লিখলে তা বিশাল ব্যাপার হবে। আপাতত, সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে বিজেপি।