‘ভাম মরেছে তাই পচা গন্ধ’, পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রীকে পুঁতে দেওয়ার পর বললেন অভিযুক্ত স্বামী

স্ত্রীকে মেরে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযুক্ত বলেছিলেন গন্ধগোকুল মারা গিয়েছে। শেষে মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগে আটক করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। চলছে তদন্ত। রবিবার হুগলির চণ্ডীতলা থানার নবাবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাকুড় গ্রামের ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম ছায়া পোড়েল (৪৮)। তাঁর স্বামী মোহন্ত পোড়েলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ছায়া। গত শুক্রবার চণ্ডীতলা থানায় তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। ছায়ার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মহন্ত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি হত। তাঁদের ছেলে ভিন্ রাজ্যে কাজ করেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, গত কয়েক দিন দু’জনে আলাদা থাকছিলেন। মহন্তই স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেন বলে অভিযোগ তাঁদের। দাবি করেন স্ত্রীকে পুঁতে দেওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। করুণা সামন্ত নামে ছবির এক আত্মীয়া বলেন, ‘‘ছায়ার নিখোঁজের কথা জানতে পেরে আমরা ওর স্বামীকে চাপ দিই। ও কখনও বলে যে ছায়া বিষ খেয়েছে, কখনও আবার বলে মেরে দিয়েছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও স্বামী অন্যের সঙ্গে থাকলে অশান্তি তো হবেই। তাই দুজনেই অশান্তিতে ছিল।’’

অভিযুক্তের প্রতিবেশী জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘ওদের বাড়িতে এসে কথা বলার সময় দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম। জিজ্ঞাসা করায় মহন্ত বলে একটা ভাম (গন্ধগোকুল) মারা গিয়েছে। ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। তাই এত গন্ধ। স্ত্রীর খোঁজের জন্য থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে ওকে আত্মীয়দের বাড়ি খোঁজ নিতে বলি। আর এখন জানলাম ছায়াকে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কথা।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ মাটি থেকে তোলা হয়। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘মৃতদেহ ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.