বিহারে রামনবমী ঘিরে অশান্তির ঘটনায় নীতীশ কুমারের সরকারের দিকে একের পর এক আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিহারেই গিয়েছেন তিনি। অমিতের গন্তব্যের মধ্যে ছিল অশান্ত সাসারামও। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে। শাহ সভা করেন নওয়াদায়। সেখানে তাঁর দাবি, ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। একই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘ক্ষমতায় এলে উল্টো করে ঝোলানো হবে দাঙ্গাবাজদের।’’
বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নীতীশ এবং লালু, দু’জনের দিকেই আঙুল তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অশান্তির পরিস্থিতি নিয়ে বিহার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও লাভ নেই বলেও মনে করেন তিনি। শাহ বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম সাসারামে যাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওখানকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এ বার যাচ্ছি না। ওখানে মানুষ মরছে। এক দিকে চলছে গোলাগুলি। অন্য দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটছে। তবে পরের বার বিহার এলে ওখানে অবশ্যই যাব।’’
অমিত জানান, বিহারের রাজ্যপালকে ফোন করে তিনি পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। লালু-নীতীশকে একসঙ্গে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘যে সরকারে লালুপ্রসাদ যাদবের মতে জঙ্গলরাজের দল রয়েছে, তারা কি আর রাজ্যে শান্তি ফেরাতে পারে? ক্ষমতার লোভে লালুপ্রসাদের কোলে বসে আছেন নীতীশ।’’ শাহের সংযোজন, ‘‘তবে আমরা এই মহাগঠবন্ধনকে উপড়ে ফেলব। আর কখনওই আরজেডি-র সঙ্গে হাত মেলাব না।’’ এর পরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘যে দাঙ্গাবাজরা বিহার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ২০২৫ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তাদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হবে।’’ অমিতের এই আক্রমণের পর পাল্টা মুখ খুলেছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের দল জেডিইউ। দলের মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, ‘‘অমিত শাহ অসত্য বলছেন। এবং তিনি আসলে বিহারের ভাবমূর্তি খারাপ করতে চাইছেন।’’
রামনবমী ঘিরে দেশের ছ’টি রাজ্যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটক বিজেপি বা বিজেপি জোট শাসিত। অ-বিজেপি রাজ্যগুলি হল বিহার এবং বাংলা। এ রাজ্যের হাওড়া জেলার কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও গত শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন শাহ।