স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বিজে ব্লকের পুজো উদ্বোধন করার পর ফেরার পথে গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন রাস্তায়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের আপত্তি সত্ত্বেও উনি রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁর সঙ্গে এদিন ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
রাস্তায় নেমে জনতার দিকে কিছুটা এগিয়ে যান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখেই তাঁর কাছে আসার চেষ্টা করেন রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মানুষ। কিন্তু নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকা তা আসা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিরাশ করেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। কথাও বলেন।
রাস্তার দুধারে দাঁড়নো অগনিত মানুষের উদ্দেশ্যে অমিত শাহ বলেন, খুব ভালো করে পুজো কাটান এবং উৎসবে সামিল হন। বলেন, বাধাই হো…। তবে মাত্র কয়েক মিনিটই উনি রাস্তায় হেঁটেছেন। এরপরে দ্রুত রাস্তার অপর প্রান্তে যেখানে তাঁর গাড়ি দাঁড়িয়েছিল, সেখানে গিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন।
এরপর তাঁর কনভয় রাজারহাটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। বেরিয়ে যাওয়ার পথেও গাড়ি থেকে জনতার উদ্দ্যেশে তিনি হাত নাড়েন।
রাস্তার দুপাশে ভিড়ে মধ্যে থেকেই জয় শ্রী রাম ধ্বনি ওঠে। এই কয়েক মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানাচ্ছেন রাস্তার ধারে অপেক্ষায় থাকা অগণিত সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার দুর্গাপুজো উদ্বোধন সহ দলের একাধিক কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় অমিত শাহ। যদিও সল্টলেকের এই পুজো উদ্বোধনকে ঘিরে কম জল ঘোলা হয়নি। পুজো কমিটির একটি অংশ চেয়েছিল অমিত শাহ যাতে পুজোর উদ্বোধন না করেন।
যদিও অপর অংশ অমিত শাহ যাতে পুজো উদ্বোধন করেন তা নিয়ে কার্যত জোরাল সওয়াল করেন। যদিও বিজে ব্লকের তরফে আমন্ত্রণ পত্রে বিধান নগরের বিধায়ক সুজিয় বসু, মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিধাননগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিশ্ব জীবন মজুমদারের নাম ছিল। কিন্তু, বিধায়ক এবং মেয়রের থাকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল প্রথম থেকেই। শেষমেশ এদিন পুজো উদ্বোধনে দেখা গেল না তৃণমূলের কোনও নেতৃত্বকেই। যদিও এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফিরেই বি জে তে পৌঁছে যান সব্যসাচী দত্ত। সেখানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় তাঁকে।