“সরকারের থেকে দল বড়, তার থেকেও বড় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার,” কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

 সরকারের থেকে দল বড়, তার থেকেও বড় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। পশ্চিম মেদিনীপুরে রামনবমীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ ভাবেই শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, “এই সরকারের মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে ব্যানার্জি পরিবার। তবে তার থেকেও বড় অভিষেক ব্যানার্জি৷ তার নীচে সবাই চাকরের মতো কাজ করেন।”

বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে রামনবমী সমারোহ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত রাম পুজন ও যজ্ঞে অংশ নেন মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব হন তিনি। প্রথমে তিনি মদন মিত্র, কুণাল ঘোষদের প্রসঙ্গে বলেন, “এখন তারা বলছেন সিবিআই চাপ দিচ্ছেন নাম বলার জন্য। কে বলছেন? মদন মিত্র বলছেন। যিনি মন্ত্রী থাকাকালীন এক বছর জেল খেটেছেন। তাঁকে কিন্তু সিবিআই ঢোকায়নি। যে সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, সেই সরকারই ঢুকিয়েছে। তিনি কতটা সৎ লোক, তাঁর কথায় কতটা বিশ্বাস করা যায়, সেটা বুঝতে পারছেন?”

কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষ বলেন, “তাঁকেও জেলে ঢুকিয়েছিল রাজ্য সরকার। তিনি তখন বলতেন, মমতা ব্যানার্জি ডাকাত-রানি। আজ সেখানে প্রসাদ চড়াচ্ছেন করে খাওয়ার জন্য। আর কে এখন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে দোষ দিচ্ছেন? কুন্তল, পার্থ বাবু কারও নাম বলছেন? যাঁরা জেল থেকে বেরিয়েছেন, যাঁরা দোষী, সব চেয়ে বড় ভ্রষ্টাচারী, তাঁরা সিবিআইকে দোষ দিচ্ছেন৷” দিলীপ ঘোষের দাবি, সিবিআইয়ের উপর সবার বিশ্বাস আছে৷ তদন্ত হচ্ছে। সত্যিকারের যাঁরা দোষী, তাদের নাম বেরোবেই। সেজন্য যাঁরা মিথ্যাবাদী, যারা চোর, তাঁদের কথায় বিশ্বাস না করার আর্জি জানান বিজেপি সাংসদ৷

এ দিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সরকারের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যানার্জি পরিবার বড়। তবে তার চেয়েও অভিষেক ব্যানার্জি বড়। তাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরা করে খাচ্ছেন, চাকর বাকরের মতো জীবন যাপন করছেন, মালিকের নাম তো বলতেই হবে।”

বগটুই প্রসঙ্গেও এ দিন সরকারকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, বগটুইতে কী হয়েছে, একবার সিবিআই তদন্ত হোক, তাহলে বোঝা যাবে সব। বগটুইতে দোষীকে গ্রেফতার করতে সাতদিন লেগেছে।

আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র, জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস, যুব সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক, মন্ডল সভাপতি দেবাশীষ দাস, জেলা সম্পাদক তপন‌ ভুঁইঞা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.