পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই প্রথম বার আমেরিকার কোনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি এনেছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্য তথা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ৷ যদিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ব্র্যাগের কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শীঘ্রই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা সব অপরাধমূলক অভিযোগ প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং নির্বাচনী হস্তক্ষেপ’ বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তিনি যাতে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন, সেই জন্যই এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও তাঁর এবং সমর্থকদের দাবি। আইনি লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য সমর্থকদের কাছে তহবিলেরও আবেদন করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে পর্ন তারকা স্টর্মির সঙ্গে যৌনমিলনের পর তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে মোটা টাকা দেওয়া হয়। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছিলেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যদিও ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। কোহেন ইতিমধ্যেই ভোটপ্রচারে নীতি লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, সম্প্রতি রিপাবলিক দলের হয়ে ২০২৪-এ আবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। সেই আবহেই তাঁকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি তাঁর প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।