রামনবমীর মিছিলে মানুষের ঢল, রামনামে মাতোয়ারা বাঁকুড়া

রামনবমীর মিছিল ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা বাঁকুড়ায়। রাম নামে মাতোয়ারা সারা শহর, মিছিলে মানুষের ঢল।
শ্রীরামনবমী উপলক্ষে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ব্যবস্হাপনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে রামনবমী উদযাপন সমিতি। মিছিলকে কেন্দ্র করে সারা শহরে টানটান উত্তেজনা ছিল কয়েকদিন ধরে।

বিগত কয়েক বছর ধরে শ্রীরামনবমী তিথিতে হিন্দু ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসছে শ্রীরামনবমী উদযাপন সমিতি। গত বছর শোভাযাত্রার পথ পরিক্রমা ঘিরে অশান্তির সৃষ্টি হয়।পাঁচবাগা ময়দান থেকে মিছিল মাচানতলার নিকট হাজির হলে পুলিশ শোভাযাত্রা সোজা না গিয়ে ঘুরপথে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিতেই বেঁকে বসে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হলে কিছু বহিরাগত যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোড়ে, মাচানতলার মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায় ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। বহু নিরপরাধ যুবক কিশোরকে গ্ৰেপ্তার করে। সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ প্রশাসন।

এবছর ও শোভাযাত্রা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে মসজিদের সামনে দিয়ে কেন শোভাযাত্রা যেতে দেওয়া হবে না? কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় শোভাযাত্রা ঘুরপথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে উদ্যোক্তারা। আজ সকাল ন’টায় শোভাযাত্রা শুরু হয়। প্রায় হাজার দশেকের উপর মা অংশ নেয় শোভাযাত্রায়, যার অধিকাংশই মহিলাদের উপস্থিত ছিল লক্ষনীয়। সুদৃশ্য ট্যাবলো, হনুমানের বেশ ধারণকারী ও শোভাযাত্রায় অংশ নেয় উৎসাহী যুবকেরা। লাঠি খেলার মাধ্যমে বীরত্ব প্রকাশ, মহিলা ঢাকি ছিল শোভাযাত্রার আকর্ষণ। শহরের বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানানো হয়। জল, সরবৎ খাইয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের আপ্যায়ন করা হয়।

এদিকে শোভাযাত্রা ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়, মাচানতলা মসজিদের সামনের রাস্তা বাঁশ দিয়ে ব্যরিকেড করে দেওয়া হয়। লাগানো হয় দেড়শো সি সি ক্যামেরা। শেষমেষ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা
শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্বহিন্দু পরিষদের বাঁকুড়া জেলার সভাপতি অশোক দে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.