Destruction Of Earth: ধেয়ে আসছে মহাপ্রলয়, হাতে আর কয়েকটা মাত্র দিন, ধ্বংসের মুখে মানব সভ্যতা, ভয়ঙ্কর দাবি বৈজ্ঞানিক মহলের

ক্রমে উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী! জ্বলছে আগুন! ভয়ঙ্কর! দেখা দেবে মহাপ্রলয়ের মতো বিপর্যয়! এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের!  বেড়েই চলেছে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ।

তার জেরে অ্যান্টার্টিকা আর গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার হার আরও বাড়ছে। ভারতের গড় তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীষ্মকালের সমসয়সীমাও বেড়ে যেতে পারে।   পৃথিবীর তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি বেড়ে গেলে কী কী হতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যান্টার্কটিন্টা ও গ্রিনল্যান্ডে আরও দ্রুত গলবে বরফ।

দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতা বাড়লে তার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বেই। বরফের চাঁই গলে সমুদ্রের জলে মিশবে, আয়তন বাড়বে জলভাগের। জলস্তরের উচ্চতা তখন আর ইঞ্চিতে নয়, প্রতি বছর ফুটের হিসাবে বাড়বে। আর তারপর?

মহাপ্রলয়!   পৃথিবীর তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি বেড়ে গেলে তার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে ভারতেও। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলিতে গরম আরও বাড়বে। সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্র উপকূল এবং দ্বীপগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সমুদ্রের তলদেশে প্রায় কোনও উদ্ভিদই বাঁচবে না।   বৈজ্ঞানিকদের মতে, এই পরিস্থিতি শুধরানোর সময় প্রায় নেই বললেই চলে! আর ১০ বছরের মধ্যেই ধেয়ে আসতে পারে মহাপ্রলয়!   বিজ্ঞান পত্রিকা ‘‌নেচার’‌-এর ৪২টি সংগঠনের ৮৪জন গবেষকদের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তর তিন গুণ বেশি গলেছে । হিসাব মতে, প্রতি বছর ২৪১ বিলিয়ন টন বরফ গলেছে আন্টার্কটিকায়।

ফলে সারা সমুদ্রে বাড়ছে জলস্তর। অথচ, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকায় প্রতিবছর বরফ গলেছিল ৮৪ বিলিয়ন টন।   গবেষকদের মতে, উত্তর মেরুর বরফ এত দ্রুত গলে যাওয়ার ফলে তার প্রভাব পড়ছে ভারতের মৌসুমি বায়ুর উপরেও, বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমের বর্ষায়। কারণ, দেশের এদিকের বর্ষা অনেকাংশেই নির্ভর করে মেরু অঞ্চলের বরফের উপর।

  এনসিএওআর-এর গবেষকরা আরও জানিয়েছেন , বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও বর্ষার মধ্যে রয়েছে সরাসরি যোগসূত্র। মেরু অঞ্চলের বরফ হলে যাওয়ার ফলে সমুদ্র ও স্থলভাগের তাপমাত্রায় যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। যার ফলে ভারতে বৃষ্টিপাতের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের কেরলের বন্যার মূল কারণই ছিল অতিবর্ষণ।

  বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এইভাবে বরফ গলার পরিমাণ বাড়তে থাকায় সব চেয়ে খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে অ্যান্টার্কটিকার সব চেয়ে কাছে অবস্থিত ভারত মহাসাগরে। ২১০০ সালের মধ্যে ভারত মহাসাগরের জলস্তর প্রায় দু’‌মিটার বেড়ে যেতে পারে। তারমানে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দু’‌মিটার ডুবে যাবে ভারত।   ইংল্যান্ডের লিড্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু শেপার্ড বলছেন, অ্যান্টার্কটিকা একাই সমুদ্রের জলস্তর প্রায় অর্ধেক ফুট বা ১৬ সেন্টিমিটার বাড়িয়ে দিতে সক্ষম এবং তা হতে চলেছে এই শতকের শেষের দিকেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলেই এই পরিস্থিতি উত্‍পন্ন হয়েছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি।   সমাধানের রাস্তা মাত্র দুটি– হয় কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গমন কমাতে হবে, নয়তো এমন কিছু করতে হবে, যাতে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস শুষে নেওয়া যায় এবং এই শুষে নেওয়া বা পরিশুদ্ধ করার পরিমাণ হতে হবে নির্গমণের থেকে বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.