‘চিরতরে বিদায়’, ফেসবুকে শেষ বার্তা! ৩ মিনিটে যুবকের বাড়িতে পৌঁছে প্রাণ বাঁচাল পুলিশ

নিজেকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার জন্য অবসাদের একগাদা ট্যাবলেট খেয়ে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। ওই অবস্থায় ফেসবুকের লাইভ ভিডিয়োয় বার্তা দিয়েছিলেন, ‘‘চিরতরে বিদায়… ।’’ অশনি সঙ্কেত পেয়ে দ্রুত ওই যুবকের বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিশ। ফেসবুক থেকে খবর পাওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যে ওই বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যায় উদ্যত যুবককে প্রাণে বাঁচালেন তারা। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থার কাছে এমনই জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা।

পুলিশ সূত্রে দাবি, দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির নন্দনগরি এলাকার ওই ২৫ বছরের যুবক দিন কয়েক হল অবসাদে ভুগছিলেন। সোমবার রাতে অবসাদ কাটানোর ৩০-৪০টি ট্যাবলেট একসঙ্গে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। নিজেকে শেষ করার সেই মুহূর্ত ফেসবুকে লাইভে সম্প্রচার শুরু করতেই তা পুলিশের নজরে এসেছিল।

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ ইস্ট) জয় তিরকে জানিয়েছেন, ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যায় চেষ্টায় উদ্যত যুবককে দেখেছিলেন ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন (আইএফএসও) ইউনিটের আধিকারিকেরা। ওই যুবকের হাতের মুঠোয় অনেকগুলি ট্যাবলেট ছিল। সেই সঙ্গে লিখিত বার্তা ছিল, ‘‘চিরবিদায়, ব্যস! আজকের পর যেন কোনও দিন এ চোখদু’টি না খোলে।’’ সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর দু’টি মোবাইল নম্বর জোগাড় করে নন্দনাগরি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে সতর্ক করে আইএফএসও।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত ৯টা ৬ মিনিটে সে খবর পাওয়ামাত্র তৎপর হন নন্দনাগরি থানার অফিসার। দলবল নিয়ে যুবকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় টহলদারি ভ্যানকেও বিষয়টি জানান, যাতে ওই যুবককে উদ্ধার করা যায়। তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেখেন, অতগুলি ট্যাবলেট খেয়ে নিজের বিছানায় ঝিমিয়ে পড়েছেন যুবকটি। তাঁর ঘর থেকে অবসাদের ওষুধপত্রও পাওয়া গিয়েছে। পরে তাঁর মা-বাবা জানান, ৮ মার্চ থেকে অবসাদে ভুগছিলেন তাঁদের পুত্র। সে জন্য চিকিৎসাও চলছিল। ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ওই যুবক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.