দেশের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরে সোমবার দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর দেশের এক নম্বর নাগরিকের সম্মানে রাতে রাজভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য সহ সমাজের বিশিষ্ট জনেরা।
নৈশভোজে চিরাচরিত বাঙালি পদেই আপ্যায়ন করা হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। আর শেষ পাতে দেশের সাংবিধানিক প্রধানের আবদার মেনে রাখা হয়েছিল কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টি দই।
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈশভোজের শুরুতে স্বাগত পানীয় হিসেবে ছিল ডাবের জল, তরমুজ ও কমলালেবুর রস। তাছাড়া স্ন্যাক্স হিসেবে ছিল ছানার চপ, কাসুন্দি, কিশমিশ দিয়ে আলুর সিঙ্গারা। ভাজা কাঠবাদাম, কাজু ও আখরোট ও স্যুপ। আরও ছিল পাঁপড়, খেজুর ও পেপের চাঁটনি। মূল খাবারের তালিকায় ছিল, গোবিন্দ ভোগ চালের ভাত, মটরশুঁটির কচুড়ি, লুচি, ফুলকা ও পরোটা। সঙ্গে ছিল ভাজা মুগের ডাল, ঝুরি আলুভাজা, বেগুন ভাজা, পুরভরা পটলের দোরমা, লাল শাকের চচ্চড়ি, এঁচোড়ের কালিয়া, মাশরুম ও মটরের সবজি এবং খুবানি ভারে পাপড়েওয়ালে কোপ্তা নামে উত্তর ভারতের এক সবজি। ডেজার্ট হিসেবে ছিল মিষ্টি দই, নলেন গুঁড়ের রসগোলা, আখরোটের হালুয়া, পুডিং, ক্ষীর চন্দ্রকলা। আর মুখসুদ্ধি হিসেবে ছিল গুণ্ডি পান।
সূত্রের খবর, তিন দিন আগেই লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতিকে আনুরোধ জানিয়েছিলেন, কলকাতায় এলে তিনি যে অবশ্যই মিষ্টি দইয়ের স্বাদ গ্রহণ করেন। সেই কথা শুনে রাজভবনকে মিষ্টি দই রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন দেশের সাংবিধানিক প্রধান।