রাত থেকেই জল ঢুকছে। কারণ ফারাক্কা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে শারদোৎসবের মুখেই পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। প্রবল গতিতে ভাগীরথী, মহানন্দা, ও পদ্মা ঘিরে নিয়েছে বহু জনপদ।
উৎসবের আগেই হিমালয় সন্নিহিত এলাকায় বিশেষ করে নেপালে প্রবল বর্ষণের কারণে সেখানকার নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। বেশিরভাগ নদী ভারতের উত্তর বিহারকে প্লাবিত করছে। তার সঙ্গে পুরো বিহারই প্রবল বন্যায় ভাসছে। ফলে, বিহার থেকে আসা বিপুল জল আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি ফারাক্কা ব্যারেজে।
সোমবার রাতেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া ফারাক্কার সবকটি লক গেট খুলে দেওয়ায় জলমগ্ন বাংলাদেশের রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা। সীমান্তের অন্যপারে মুর্শিদাবাদের একাংশ ও মালদহের বেশ কিছু এলাকা বন্যা কবলিত।
ফারাক্কার লকগেটগুলি খুলে দেওয়ায় ফুলহার, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীতে বেড়েছে জলস্তর। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে ফুলহার, গঙ্গার জল। সেই স্রোতের টানে জল বাড়ছে পদ্মার।
সোমবার ফারাক্কা বাঁধের সব লকগেট খুলে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পদ্মা ছাড়াও মালদা জেলার প্রায় সমস্ত নদীতে জল বাড়ছে। আর পশ্চিমবঙ্গের দিকে ইংরেজ বাজার শহরের একাধিক এলাকা জলের তলায়। মালদা জেলার ফুলহার, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। প্লাবনের আশঙ্কা বাংলাদেশে। রাত জেগেছেন বহু গ্রামের বাসিন্দারা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আধিকারিক মহ. আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানিয়েছেন , অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের প্রভাবে গঙ্গা নদীর জল বাংলাদেশের রাজশাহী ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে এবং গড়াই নদীর জল গড়াই রেলওয়ে ব্রিজ ও কামারখালী পয়েন্টে চলতি সপ্তাহে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতেই বিপদের আশঙ্কা প্রবল।
তিনি আরও বলেন, ভারতের দিকে গঙ্গার জল বৃদ্ধির কারণে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে পদ্মা নদী গোয়ালন্দ ও ভাগ্যকুল পয়েন্টে এবং নদী সংলগ্ন যমুনা আরিচা পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পদ্মা নদী সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা বাড়ছে।