Cow Smuggling: তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে পাঠানো হোক, আদালতে মোক্ষম যুক্তি দিলেন অনুব্রত

 গোরু পাচারাকাণ্ডে ইডি হেফাজত থেকে বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেখানে থাকতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে। তাই তাঁকে যাতে আসানসোল জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই আবেদন জানিয়ে দিল্লির রাউজ অ্য়াভিনিউ আদালতে আবেদন করলেন তাঁর আইনজীবী। এনিয়ে আগামী সপ্তাতে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিহাড় জেলের ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আইনজীবী আজ রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন, তিহাড় থেকে আসানসোল আদালতে অনুব্রতকে বদলি করা হোক। কিন্তু এর পেছনে যুক্তি কী? অনুব্রত আইনজীবী যেটা বলছেন সেটা হল, আইনে বলা হয়েছে, যে জায়গা থেকে কোনও অভিযুক্তকে হেফজতে নেবে এবং তাঁকে যদি অন্য রাজ্যে রিমান্ডে নিয়ে য়াওয়া হয় তাহলে সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে তার আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে হবে। 

আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তারা অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে আসে। টানা ১৪ দিন  তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখা হয়। তারপর সেই মেয়াদ শেষের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তিহাড় জেলে। প্রথম থেকেই অনুব্রতর আইজীবীরা রাউজ অ্য়াভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। এবার তারা অনুব্রতকে আসানসোলে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেন। আগেই তাঁর জামিনের আবেদন ফাইল করা হয়েছে। আগামী ২৯ মার্চ সেই আবেদনের শুনানি হয় কিনা সেটাই দেখার।

উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে যায় পুলিস। তাকে ১৩ দিন সেখান রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু স্বাভাবিকবাবেই তিহাড়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছে অনুব্রতর। প্রথম দিনই ওষুধ ও খাবার নিয়ে সমস্যায় পড়েন তৃমূল নেতা। প্রথম রাতে তাঁকে আলাদা ঘরে রাখা হয় অনুব্রতকে। আজ তাঁকে কোনও সেলে দেওয়া হতে পারে। গতকাল রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পর জেলের ক্লিনিকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেইসময় তাঁর কাছে ছিল মাত্র ২টি কাগজ। একট হল তাঁর প্রেসক্রিপশন এবং অন্যটি হলে কোর্টের কাগজ। সূত্রের খবর, নিজের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে অনুব্রত বলেন, তাঁর ওইসব ওষুধ খুবই প্রয়োজনীয় ওই ওষুধ ছাড়া তাঁর চলবে না।

এদিকে, প্রসেক্রিপশন দেওয়া হলেও তাঁর পরিচিত ব্রান্ডের ওষুধ তিনি পাননি। এনিয়ে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ একই কম্পোজিশনের ওষুধ দেওয়া হলেও ব্রান্ড আলাদা হাওয়ায় তিনি সেই পাতা চিনতে পারছিলেন না। প্রথম দিন তাঁকে সেলে রাখা হয়নি। তিনি রাত কাটান একটি ঘরে। আজ তাঁকে কোনও সেলে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। গত রাতে তাঁকে সারাক্ষণ নজরে রেখেছিলেন জেলের এক আধিকারিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.