বকেয়া ডিএর দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এনিয়ে একদফা কর্মবিরতি তারা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে ফের তেজি হবে তাদের আন্দোলন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়। এরমধ্যেই রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার ওই ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৪২ শতাংশ। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ওই ডিএ বৃদ্ধির ফলে উপকৃত হবেন প্রায় এক কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগী। ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে কেন্দ্রের খরচ হবে ১২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
কেন্দ্রের ওই ঘোষণার পরই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, কেন্দ্র যখন ডিএ বাড়াচ্ছে তখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আবেদন সত্বেও সরকার তাতে কান দিচ্ছে না। বরং পাল্টা আক্রমণ করা হচ্ছে। মোদীজি কাজ করে দেখিয়েছেন। দিনের পর দিন বঞ্চিত হওয়ার জন্যই রাজ্যের কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
ওই ঘোষণার ফলে এরাজ্য বিরোধীরা যে হাতে এক নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর ফলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রে ডিএ-র তফাত হয়ে গেল ৩৬ শতাংশ। পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনেই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাই ভোটের ডিউটি করেন। সেক্ষেত্রে সরকার তার কর্মচারীদের ক্ষোভ কীভাবে সামাল দেয় সেটাই দেখার।
সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ডিএ নির্ভর করে কস্ট অব প্রাইস ইনডেক্সের উপরে। জিনিসপত্রে দাম হুহু করে বাড়ছে। এর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্যই সরকারী কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী যদি বালিতে মুখ গুঁজে থাকেন, যদি মনে করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা তাহলে তা একেবারে অবোধের চিন্তা। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী সকলের মধ্য়ে একটা অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।